মাউথ ফ্রেশনার খেয়েই মুখ থেকে উঠল রক্ত, শুরু বমি! রেস্তোরাঁয় অসুস্থ ৫ জন, কী ছিল?

মাউথ ফ্রেশনার খেয়েই মুখ থেকে উঠল রক্ত, শুরু বমি! রেস্তোরাঁয় অসুস্থ ৫ জন, কী ছিল?

মাউথ ফ্রেশনার খেতেই মুখ থেকে উঠে এল রক্ত। বমি শুরু করলেন কয়েকজন। এমনই ঘটনা ঘটল গুরুগ্রামের একটি রেস্তোরাঁয়। সেই ঘটনায় পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে যে ওই মাউথ ফ্রেশনার বা মুখশুদ্ধির মধ্যে ‘ড্রাই আইস’ (কার্বন-ডাই-অক্সাইডের রূপ) মেশানো ছিল। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচজন। তবে ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা পালিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারী অঙ্কিত কুমার।

গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা অঙ্কিত দাবি করেছেন, শনিবার স্ত্রী ও চার বন্ধুর সঙ্গে গুরুগ্রামের সেক্টর ৯০-র একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে নৈশভোশ সারেন। তারপর তাঁদের জন্য মাউথ ফ্রেশনার নিয়ে আসেন একজন ওয়েটার। প্রত্যেকেই মাউথ ফ্রেশনার খান। সেটা খাওয়ার পরেই তাঁরা অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন সকলেই। তারপর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিজের অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন অঙ্কিত।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঙ্কিত বলেছেন যে ‘আমি একজন চিকিৎসককে ওই মাউথ ফ্রেশনারের প্যাকেট দেখিয়েছি। উনি বলেছেন যে এটা আদতে ড্রাই আইস। চিকিৎসক জানিয়েছেন যে এটা একধরনের অ্যাসিড। যেটার কারণে মৃত্যুও হতে পারে।’

পুলিশ জানিয়েছে, অঙ্কিত অভিযোগ করেছেন যে মাউথ ফ্রেশনার খাওয়ার পরে পাঁচজনেরই মুখ জ্বলতে থাকে। মুখ থেকে রক্ত উঠে আসে। সকলের বমি শুরু হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতিতে পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গুরুগ্রামের খেরকি দৌলা থানায় একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে স্টেশন হাউস অফিসার মনোজ কুমার জানিয়েছেন, অঙ্কিতের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮ ধারা (বিষক্রিয়ার মাধ্যমে আঘাত করা) এবং ১২০বি ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এই বিষয়টা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আইন মেনে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)