টাকার জন্য পড়ুয়াদের দিয়ে পা চাটাল স্কুল, তুমুল ভাইরাল স্কুলের ‘জঘন্য’ ভিডিয়ো

টাকার জন্য পড়ুয়াদের দিয়ে পা চাটাল স্কুল, তুমুল ভাইরাল স্কুলের ‘জঘন্য’ ভিডিয়ো

স্কুলের তহবিল সংগ্রহ করা জরুরি, তাই পড়ুয়াদের দিয়ে পা চাটাল স্কুল কর্তৃপক্ষ, পা চেটে পায়েই খেতে হল চুমুও। এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে যে কেউ শিউরে উঠবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিয়ার ক্রিক হাইস্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। ডিয়ার ক্রিক স্কুল ডিস্ট্রিক্টের মতে, ভিডিয়োটি ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪-এ স্কুলের সপ্তাহব্যাপী তহবিল সংগ্রহের একটি ইভেন্ট চলাকালীন শ্যুট করা হয়েছিল, ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লক্ষাধিক ভিউ পেয়েছে।

  • ভাইরাল ভিডিয়ো

ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অন্তত চার জন শিক্ষার্থী পেটের উপর ভর বেশ কয়েকজনের পা থেকে চিনা বাদামের মাখন চাটছে। শুধু ওই ভিডিয়োতে শিক্ষার্থীদের মুখ ঝাপসা রাখা হয়েছে। ভিডিয়োর ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কয়েকজন মডারেটরদের উল্লাস করার আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে, যারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পা চাটার ক্রিয়াকলাপ দেখে আনন্দিত বোধ করছিলেন। ওকলাহোমা স্টেট সুপারিনটেনডেন্ট রায়ান ওয়াল্টারস ভিডিয়োটির বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে যে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছিলেন, তা তাঁর কমেন্ট দেখেই বোঝা গিয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘এটা ঘৃণ্য। আমরা ওকলাহোমার স্কুলগুলিতে এই ধরনের আবর্জনা পরিষ্কার করছি। আমাদের সংস্থা তদন্ত করছে।’ অন্য একটি পোস্টে তিনি যোগ করেছেন, ‘এটি শিশু নির্যাতন।’

  • নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

ভিডিয়োটিতে বেশ কিছু নেটিজেনও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ‘এটি খুব বিরক্তিকর,’ একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন। ‘কোনও ভাবেই না! এমনটা করা খুব অন্যায় হয়েছে। আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে কেউ বাচ্চাদের দিয়েও এমনটা করানোর কথা ভাবতে পারে,’ অন্য একজন লিখেছেন। অন্য একটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, ‘বাড়িতেই পড়াশোনা এখন সেরা বিকল্প।’ অন্য জন তীব্র প্রতিবাদের সুরে রীতিমত রেগে গিয়েই বলেছেন, ‘একজন অভিভাবক হিসাবে আপনি কেন আপনার বাচ্চাদের তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক ভবিষ্যতের যত্ন না নিয়ে এমন সরকারি স্কুলে পাঠালেন।’

  • আদতে কেন এমনটা করা হয়েছিল

ডিয়ার ক্রিক স্কুল জানিয়েছে, স্কুলের কাছাকাছি একটি কপি শপ সমস্যায় পড়া ব্যক্তিদের চাকরি দেয়। তাঁদের জন্যই তহবিল সংগ্রহ করতে শিশুদের দিয়ে এমনটা করানো হয়েছে। স্কুলের নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা যদিও এটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় করেছে বলে জানানো হয়েছে। এর দরুণ ১৫২,৮৩০.৩৮ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে স্কুলটি। এর পরে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে একজন ছাত্রের দাবি, ‘আশ্চর্যজনক। আমি ভাবিনি যে তারা এই সব করবে। আমি শুধু হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এবং এটা ভেবে আমি খুশি যে আমি সেখানে ছিলাম না।’ একজন অভিভাবক বলেছেন, ‘তারা প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করেছে, এটা ভালো কথা। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তারা হয়তো সেই বিবৃতিতে আরও কিছুটা জবাবদিহিতা দিতে পারত।’

(Feed Source: hindustantimes.com)