ছুটিতে লাদাখে ঘুরতে গিয়ে ‘হেনস্থা’র শিকার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! 

ছুটিতে লাদাখে ঘুরতে গিয়ে ‘হেনস্থা’র শিকার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! 

 

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় একের পর এক যুগান্তকারী রায় এবং নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর সেই রায় ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়েছে। আবার অনেক সময়ই তাঁর রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আপত্তি জানানো হয়েছে। তবে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। এহেন বিচারপতি এবার ঘুরতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন লাদাখে।

জানা গিয়েছে, হেনস্থার শিকার হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখতে পারেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এজলাসে আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় নিজের ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন বিচারপতি। তিনি জানান, লাদাখের দ্রাসে গিয়ে তিনি পুলিশের কাউকে দেখতে পাননি। সাধারণত, রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও বিচারপতির কনভয়ে জেলা বিচারক এবং পুলিশ থাকে।

নিয়ম লঙ্ঘনের জেরে ২৩ কিমি দূরে পুলিশ থানায় নিজেই পৌঁছে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, দেশ বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন দ্রাসের ওই পুলিশ অফিসার। বিচারপতি জানান, ওয়ার মেমোরিয়াল ঘুরতে চেয়ে তিনি আবেদন করলে তাঁকে বলা হয়, প্রটোকল মেনে সব ব্যবস্থা করা হবে। তবে সেরম কিছুই করা হয়নি। এদিকে সোনমার্গ থানায় এই নিয়ে সাহায্য চান বিচারপতি। তখন নাকি বিচারপতিকে জানানো হয়, গাড়ি খারাপ থাকায় সাহায্য করা সম্ভব নয়। যদিও বিতারপতি দাবি করেন, থানার ২৮টি গাড়ির কোনও একটিও খারাপ ছিল না। 

বিচারপতি বলেন, ‘ওই পুলিশ অফিসার বলছেন, তুর্তুক আসলে পাকিস্তানের জায়গা। ভারত তা দখল করে রেখেছে। তিনি নিজেও তুর্তুকের বাসিন্দা।’ এমন কি পরে জম্মু ও কাশ্মীরের হাই কোর্ট দেখতে চাইলে সহযোগিতা করা হয়নি। এই পুরো ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেবেন বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি, তার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও চিঠি দেবেন বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

 

(Source: hindustantimes.com)