ভালো বেতন চাইতেই চাকরি গেল ৪৩ কর্মীর, প্রকাশ্যে মর্মান্তিক ভিডিয়ো

ভালো বেতন চাইতেই চাকরি গেল ৪৩ কর্মীর, প্রকাশ্যে মর্মান্তিক ভিডিয়ো

পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে সবে মাত্র বলতে শুরু করেছেন, বেতনের অংক একটু বাড়ালে ভালো হয়। ঠিক সেই মুহূর্তেই চাকরি গেল কর্মচারীর। সম্প্রতি, এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে ইউটিউব মিউজিক। ওই একজনেরই নয়, এক ধাক্কায় ৪৩ জন কর্মচারীকে চাকরি কেড়ে নিয়েছে ইউটিউব। সেই ঘটনার একটি চাক্ষুষ ভিডিয়োও এরইমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।স্বাভাবিকভাবেই, আলোচনায়ও উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই কর্মচারীদের Google এবং Cognizant যৌথভাবে নিয়োগ করেছিল। এ প্রসঙ্গে গুগল বলেছে যে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা দায়ী নই। এখানে সবাইকেই তাৎক্ষণিকভাবে ছাঁটাই করা হচ্ছে।

  • কী আছে ভিডিয়োতে

জ্যাক বেনেডিক্ট নামে একজন কর্মচারী নিজের বিষয়ে এবং তাঁর সহকর্মী কর্মচারীদের হয়ে কথা বলছিলেন। এককথায়, শুনানির সময় বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুবিধার দাবি করছিলেন কর্মচারীদের ওই প্রতিনিধি। এসময় তাঁর এক সহকর্মী এসে তাঁকে জানান, ওই ব্যক্তি সহ অন্যান্য প্রত্যেকের চাকরি চলে গিয়েছে। এদিকে যে কর্মকর্তারা ওই ব্যক্তির কথা শুনছিলেন, তখনই তাঁরাও বললেন যে ওই কর্মীর কথা বলার সময়ও শেষ। এই ঘটনার পর জ্যাক বেনেডিক্ট কয়েক মুহূর্তের জন্য কী বলবেন বুঝতে পারলেন না। কিন্তু তাঁর মুখে স্পষ্ট রাগ ফুটে উঠেছিল। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের কোনও প্রকার নোটিশ না দিয়ে সরাসরি বহিস্কার করা হয়েছে। আরও কর্মচারীরা যাতে এই ধরনের দাবি না করেন সে জন্য একটি প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছিল।

  • এদিন ঠিক কী ঘটেছিল এই কর্মচারীদের সঙ্গে

জানা গিয়েছে, এই কর্মচারীদের সঙ্গে Google এবং Cognizant-এর যে চুক্তি ছিল তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের জন্য এই কারণ দেখানো হয়েছে। তাঁরা সবাই ইউটিউব মিউজিকের কর্মচারী ছিলেন। এখন গুগল যদিও এই বিষয়টি থেকে সরে এসেছে। এরপরে অ্যালফাবেট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের অভিযোগ, যে ছাঁটাই দেখানো হয়েছে তা কয়েক ঘণ্টা আগে করা হয়েছে এবং কর্মচারীদের কোনওরকম নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টেক্সাসের অস্টিনে। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাইটের ৪৩ ইউটিউব মিউজিক কর্মীকে দ্রুত বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, জ্যাকের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে গুগলের একজন মুখপাত্র একটি ইমেল পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে যে কন্ট্রাকচুয়াল কর্মীদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি নির্দিষ্ট তারিখে শেষ হয়ে যায়। আমরা যদি ওই কর্মচারীর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে আর কাজ করতে না চাই, তাহলে সেখানেই তাঁদের কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। আমরা যে ছাঁটাই করেছি তা আমাদের ব্যবসার অংশ। এতে বলা হয়েছে যে কর্মচারীদের আমরা নতুন চাকরি খোঁজার জন্য সাত সপ্তাহের মতো অতিরিক্ত বেতন দিয়েছি।

(Feed Source: hindustantimes.com)