রিসেপশন বিতর্কে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর পাশে রুদ্রনীল-শ্রাবন্তীরা, বললেন ‘এটা নির্ঘাত…’

রিসেপশন বিতর্কে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর পাশে রুদ্রনীল-শ্রাবন্তীরা, বললেন ‘এটা নির্ঘাত…’

৫৩ বছরে এসে তৃতীয়বার পিঁড়িতে বসেও যেন ঝামেলার অন্ত নেই। একে তো নিজের থেকে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে বিয়ে করায় কাঞ্চন মল্লিককে পড়তে হয়েছে চরম কটাক্ষের মুখে। তার মধ্যে রিসেপশনের দিন অনুষ্ঠানের ভেন্যুর সর্বত্র সংবাদমাধ্যম, গাড়ির চালক এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবেশ নিষেধ লিখে রাখায় পড়েছেন বিপাকে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। সাধারণ মানুষ, সংবাদ কর্মী থেকে অভিনেতারা অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন। যদিও সাফাই হিসেবে কাঞ্চন শ্রীময়ী জানিয়েছেন তাঁরা এসব লেখেননি, বরং ভেন্যুর তরফে লেখা হয়। এবার এই গোটা বিতর্ক নিয়ে কী জানালেন রুদ্রনীল ঘোষ, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়রা?

কাঞ্চন শ্রীময়ীর রিসেপশনের অশান্তি নিয়ে কী বললেন রুদ্রনীল শ্রাবন্তী?

কাঞ্চন মল্লিক এবং রুদ্রনীল ঘোষ ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী, ভিন্ন দলের সমর্থক হলেও তাঁরা একে অন্যের দীর্ঘদিনের বন্ধু। এমন অবস্থায় বন্ধুর রিসেপশন নিয়ে যে বিতর্ক উসকেছে সেটা নিয়ে কী জানালেন রুদ্রনীল? আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু আমি কাঞ্চনকে যতটা চিনি তাতে মনে হয় না এটা ওর কাজ। কাঞ্চন একটা সময় ওর গাড়ির চালকের সঙ্গে খাবার খেত। আর ও সাংবাদিকদের খুবই সম্মান করে। কেউ দায়িত্ব নিয়ে এই বড় ভুলটা করে ফেলেছেন।’ তাঁর মতে কাঞ্চনের রিসেপশনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা থেকে বাকিদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তবে কাঞ্চনের বিয়ে বা বৌভাতে কোথাওই ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি কাঞ্চন।

অন্যদিকে বিতর্কিত রিসেপশন পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন শ্রাবন্তী। তিনি এই গোটা বিষয় নিয়ে জানান, ‘কাঞ্চনদাকে আমি অনেক ছোট থেকে চিনি। উনি এরম কিছু করতে পারেন বলে আমি বিশ্বাসী করি না। জেনে শুনে এই ভুল করার মানুষ কাঞ্চনদা নন। আমি অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু দেখেছি ওরা খুব মন দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করেছেন। এটা অন্য কারও কাজ।’

রিসেপশন বিতর্ক নিয়ে কী বলেছেন শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন?

কাঞ্চন নিজের সাফাই দিয়ে বলেন, ‘আমাকে কেন বারবার টার্গেট করা হচ্ছে জানি না। সকলেই আপনারা আমাদের রিসেপশন কার্ড দেখেছেন। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে সংবাদমাধ্যম, ড্রাইভার বা দেহরক্ষীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। এটা আমার শিক্ষা নয়। সহবত নয়। আসলে এটা ভেন্যু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। ওখানে ২০০ লোক ধরে। সেখানে ৪০০ জনকে তো আর জায়গা দিতে পারব না। অনেকেই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঢুকে পড়েন যে আমি নিরাপত্তা রক্ষী বা সংবাদমাধ্যম কর্মী। সবসময় তো পরিচয় পত্র দেখা হয় না। তাই সমস্যা হয়। কাউকে দূর দূর করে তাড়ানো হয়নি। আমরা যা বলেছিলাম সেটা কী বুঝে কী লিখেছে ভেন্যুর তরফে তার দায় আমার নয়।’

(Feed Source: hindustantimes.com)