ললিপপের মত সহজে এখন গাঁজা পাওয়া যায়-পুলিশ কর্তার মুখের ওপর বলে দিলেন তরুণ

ললিপপের মত সহজে এখন গাঁজা পাওয়া যায়-পুলিশ কর্তার মুখের ওপর বলে দিলেন তরুণ

‘পুলিশি স্টেশনের সামনেই তো গাঁজা পাওয়া যায়, তাহলে পুলিশ কেন গাঁজা ব্যবসায়ীদের ধরতে পারছে না! পড়ুয়ারা যদি এত সহজেই গাঁজা ব্যবসায়ীদের খোঁজ পেতে পারে, পুলিশ কেন নয়!’- সরাসরি পুলিশ প্রশাসনের কাজের দিকে প্ৰশ্ন ছুঁড়লেন এক কলেজ পড়ুয়া। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো।

শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রায়ই স্কুল-কলেজে সেমিনার করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের অনেক বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনার পাশাপাশি বাস্তবতা শেখানোর কাজও করা হয়ে থাকে এই ধরনের সেমিনারে। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সুযোগও দেওয়া হয়, যাতে তারা নিজেদের মনের নানান জিজ্ঞাসা, সন্দেহের উত্তর খুঁজে বের করতে পারে। সম্প্রতি এমনই কিছু ঘটেছে একটি কলেজে, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের মাদকাসক্তি সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। এই সময় শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার সময় এলে, একজন ছাত্র এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ প্রশাসনকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে সেই ভিডিও।

কী রয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োয়

ভিডিয়োয় ছেলেটিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে – ‘স্যার, আসক্তি মুক্ত করার জন্য এত বড় অনুষ্ঠান আমরা দেখেছি কিন্তু ইউনিভার্সিটি হচ্ছে নেশার সবচেয়ে বড় কেন্দ্র। স্যার, আজ আমরা পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বসে আছি। আজ গাঁজা বা যেকোনও নেশাজাতীয় পদার্থ পাওয়া টফি-ললিপপ পাওয়ার মতোই সহজ। কলেজের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা যদি গাঁজা ব্যবসায়ীকে ট্র্যাক করতে পারে তবে পুলিশ কেন পারবে না? পুলিশই কি পিছিয়ে গেল?’ তিনি আরও বলেন – ‘স্যার, আমি যা বিশ্বাস করি… আমি একটি সমাজে থাকি, আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র… স্যার, সামনে একটি পুলিশ স্টেশন রয়েছে এবং তার সামনেই গাঁজা তৈরি করা হয়।’

ভাইরাল ভিডিয়োটির ক্যাপশন থেকে জানা গিয়েছে, ডঃ বিআর আম্বেদকর ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, সোনিপাতের একজন ছাত্রই পুলিশকে প্রশ্ন ছোঁড়ার এই উদ্দাম সাহস দেখিয়েছেন।

ছাত্রের প্রশ্নে রীতিমত গমগম করে উঠেছিল সেমিনার হল। এসময় সেখানে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে জোরে জোরে হাততালি দিতে দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়োটি নেটিজেনদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ব্যাপকভাবে। এখনও পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি ব্যবহারকারী এই ভিডিওটি দেখেছেন। এ নিয়ে অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্যও করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন- ‘আমি সিনিয়র পুলিশ অফিসারের প্রতিক্রিয়া জানতে আগ্রহী।’ অনেক ব্যবহারকারী ছেলেটির সাহসিকতার প্রশংসাও করেছেন।

উল্লেখ্য, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট, ১৯৮৫(১) এর আওতায়, ভারতে গাঁজা খাওয়া এবং বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)