জলের তৈরি সমুদ্রে ঘেরা গোটা গ্রহ! বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্প! কেন উৎসাহ বিজ্ঞানীদের

জলের তৈরি সমুদ্রে ঘেরা গোটা গ্রহ! বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্প! কেন উৎসাহ বিজ্ঞানীদের

কলকাতা: এমন একটি গ্রহ, যা না কি গোটাটাই সমুদ্রে ঢাকা। এমনই একটি গ্রহের খোঁজ নাকি পেয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope)। এই গ্রহটি একটি এক্সোপ্ল্যানেট অর্থাৎ সৌরজগতের বাইরের গ্রহ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই গ্রহের নাম TOI-270 d, পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব ৭০ আলোকবর্ষ দূরে। আর আকারে পৃথিবীর দ্বিগুণ।

ওই গ্রহের বায়ুমন্ডল কেমন? এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মিলেছে জলীয় বাষ্প, মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড। যদিও এই বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে ভিন্ন বিজ্ঞানী দলের মধ্যে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের মতে ওই গ্রহের উপরিভাগে পুরোটাই কোনও সমুদ্র রয়েছে। কেন এমনটা মনে করছেন তাঁরা? বিজ্ঞানীদের মতে বায়ুমণ্ডলে কোনও অ্য়ামোনিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁরা মনে করছেন কোনও বৃহৎ সমুদ্র এই অ্যামোনিয়া শুষে নিয়েছে। এই বিজ্ঞানী দলের প্রধান নিক্কু মধুসূদন বলছেন, ‘আমরা মনে করছি এটা একটি Hycean বিশ্ব যেখানে হাইড্রোজেন পূর্ণ আবহাওয়ায় জলীয় সমুদ্র রয়েছে।’

অন্যদিকে কানাডার এক বিজ্ঞানী দলের দাবি এই গ্রহটি অত্যন্ত গরম, ফলে  তরল আকারে জল থাকার কথা নয়। তাদের দাবি এই গ্রহের জমি পাথুরে। হাইড্রোজেন ও জলীয় বাষ্পের ঘন আবরণে ঘেরা এই গ্রহ।

কেন আশাবাদী বিজ্ঞানীরা?
Hycean- গ্রহ অর্থে বোঝানো হয় এমন একটি গ্রহ যেখানে বায়ুমণ্ডলে পর্যাপ্ত হাইড্রোজেন রয়েছে এবং তরল আকারে জলের তৈরি সমুদ্র রয়েছে। এর ফলেই মনে করা হয় বাসস্থান তৈরির পক্ষে যোগ্য হলেও হতে পারে। যদিও পুরোটাই হাইপোথেটিক্যাল। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে এমন গ্রহ বাসস্থান তৈরির জন্য একেবারেই উপযুক্ত নাও হতে পারে।

কেন সমুদ্র রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা:
ওই গ্রহের বায়ুমন্ডলে অ্যামোনিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিন্তু রসায়ন বলে আবহাওয়ায় হাইড্রোজেন থাকলে সেখানে অ্যামোনিয়া থাকে। কিন্তু এখানে সেটা পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বিপুল বড় কোনও সমুদ্র থাকলেই তা অ্যামোনিয়া শুষে নিতে পারে। সেই কারণেই অ্যামোনিয়ার খোঁজ না পাওয়ায় বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছে এই গ্রহে বড় কোনও সমুদ্র থাকতে পারে।

(Feed Source: abplive.com)