যাদবপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই সায়নীকে ফোন মিমির, কী কথাবার্তা হল দু’জনের

যাদবপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই সায়নীকে ফোন মিমির, কী কথাবার্তা হল দু’জনের

যাদবপুর কেন্দ্রে লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। লোকসভা নির্বাচনে সায়নী প্রার্থী হতে পারেন সে জল্পনা বহুদিন ধরেই ছিল রাজনৈতিক মহলে। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে এই জল্পনার অবসান ঘটালেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে যে কেন্দ্রে মিমি চক্রবর্তীর উপর আস্থা রেখেছিলেন মমতা, সেই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রেই তৃণমূলের দলেন তরুণ সৈনিক সায়নী।

রবিবার ব্রিগেড থেকে নাম ঘোষণার পরই এদিন রাতে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার কামালগাজি এলাকায় যান সায়নী। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সম্প্রতি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তার পরই যাদবপুরে সায়নীকে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। এ দিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন সায়নী।

মিমির মতো সায়নীও তারকামুখ। মিমির বদলে এবার তিনি যাদবপুরে। সায়নী জানান, প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর মিমি তাঁকে ফোন করেছিলেন। কী কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে? সায়নী জানিয়েছেন, ‘মিমি (চক্রবর্তী) উইশ করেছে আমাকে। শি উইশ মি অল দ্য বেস্ট।’

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই দেওয়াল লিখন করার পাশাপাশি এদিন জনসংযোগও সারেন সায়নী। ব্রিগেড থেকে তাঁর নাম ঘোষণার পরই এদিন রাতে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার কামালগাজি এলাকায় যান তিনি। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও রাজপুর সোনারপুর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলরের পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও হাজির ছিলেন সায়নীর সঙ্গে। যাদবপুর কেন্দ্রের লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ৩০ বছর আগে যুবনেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাদবপুর জিতিয়েছিল। তিনিও আশাবাদী। তাঁর সঙ্গে যাদবপুর থাকবে। তাঁর কথায়, ভোটের ময়দানে বাম-বিজেপি সকলেই থাকুক। লড়াই যদি না হয়, তাহলে খেলার মজাটাই থাকে না।

যে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার সায়নীকে প্রার্থী করা হল, ২০১৯ সালে সেখানে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান মিমি। যাদবপুর থেকে জয়ী হয়ে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু এ বছর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিমি। দলনেত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দেন। মিমি জানান, রাজনীতি যে তাঁর জন্য নয়, তা বুঝতে পেরেছেন তিনি। কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে ভাঙড়ের দু’টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদ থেকেও ইস্তফা দেন মিমি।

(Feed Source: hindustantimes.com)