লোকসভা ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত হল ভাঙড়। ISF কর্মী খুনে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম গ্রেফতার হওয়ার পর,এবার তাঁর খাসতালুক পোলেরহাটেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ও ISF। আহত হলেন উভয়পক্ষের ৫-৬ জন। ISF-এর দাবি, রবিবার পোলেরহাটের পশ্চিম সাতুলিয়া এলাকায় তাদের বুথ কমিটির মিটিং চলছিল। অভিযোগ, সেইসময় হামলা চালায় তৃণমূলের ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী। যদিও ISF-এর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। খলিরুল ইসলাম বলেছেন, বুথ কমিটি তৈরি হচ্ছিল।তৃণমূল তৈরি ছিল। সেজেগুজে ৫০ জন গুন্ডাবাহিনী আসল।ব্য়াপক মেরেছে।
ভাঙড়ের আহত তৃণমূল কর্মী বাবলু মল্লিক বলেছেন, আমরা ফিরছিলাম মিটিং থেকে ঝামেলা বলেই আমাদের বাঁট দিয়ে মারতে থাকে।রবিবারের ঘটনায় দু’পক্ষই পোলেরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়! সংঘর্ষ, বোমাবাজি থেকে খুন-বাদ যায়নি কিছুই।এবার লোকসভা ভোটের মুখে ফের উত্তেজনা ছড়াল ভাঙড়ে।পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিকবার অশান্ত হয়েছে এই ভাঙড়। চিন্তার বিষয় লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ হয়নি অথচ তার আগেই ফের অশান্তির ছবি দেখা যাচ্ছে ভাঙড়ের বুকে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই জেলবন্দি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পোলেরহাট থানার পুলিশ। ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা খুনের ঘটনায় আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের কাশীপুর থানার পুলিশ। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত কাশীপুর থানা এলাকার জিরানগাছা অঞ্চলে একটি কোম্পানির জমি ঘেরাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকা দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর, স্থানীয় তৃণমূল নেতা খাইরুল ইসলামকে খুন করতে সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।সেই ঘটনায় তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে নিতে চেয়ে বারুইপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের পোলেরহাট থানার পুলিশ।
(Feed Source: abplive.com)