রাজীব চক্রবর্তী: জল্পনা চলছিলই। লোকসভা ভোটের মুখে দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেল CAA। ‘দেশের ১৮ কোটি মুসলিম নাগরিকের উপর এই আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না’, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সময় লাগল ৪ বছর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর সাংসদে পাশ হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল (CAA)। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করার পর সেই বিল পরিণত হয় আইনে। ২০২০ সালে আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু ততদিনে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এরপর সাতবার বিধি তৈরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। অবশেষে জারি হল বিজ্ঞপ্তি। কবে? গতকাল, সোমবার।
আইনে ঠিক বলা হয়েছে? কারা নাগরিকত্বের জন্য় আবেদন করতে পারবেন? এদেশের বসবাসকারী মুসলিমদেরই-বা কী হবে? নাগরিকত্ব আইনে ৬ নম্বর ধারা উল্লেখ করে এবার বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘বিশ্বের যেকোনও প্রান্তের মুসলিম নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারে। এমনকী, নির্দিষ্ট ৩ দেশের মুসলিমরাও আবেদন করতে পারেন। সিএএ-তে কোনও ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানোর সংস্থান নেই’।
এদিকে CAA লাগু হওয়ার পর, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় জনসভায় তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে ছলনা, বঞ্চনা, নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। যে সিএএ বিজ্ঞপ্তি গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে তার আদৌ কোনও বৈধতা রয়েছে কিনা তাতে আমার সন্দেহ রয়েছে’।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ‘মনে রাখবেন সিএএ এনআরসির সঙ্গে কানেকটেড। আপনাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে চলে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন। হাজার বার ভাববেন’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘আমরা এসব মানছি না। একটা মানুষ যদি অধিকার পান তাহলে আমি খুশি হবে। আর একটা মানুষ যদি অধিকার হারায় তাহলে আমি তার সামনে দাঁড়িয়ে তার জন্য লড়াই করব। কাউকে তাড়াতে দেব না’।
(Feed Source: zeenews.com)