মোবাইল অ্যাপও চালুর ভাবনা: কেউ সতর্ক করছেন, কেউ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। CAA নিয়ে দাবি পাল্টা দাবি ঘিরে এখন জোর তরজা, রাজনৈতিক বিভ্রান্তি। নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য খোলা হয়েছে, Indian Citizenship Online Portal। কী করে আবেদন করতে হবে, সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ‘CAA-2019’-নামে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হবে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ বলেন, “যাঁরা ৭১-এর পরে এসেছেন, উৎপীড়িত হয়ে এবং ২০১৪ সালের কাটঅফ ডেট ৩১ ডিসেম্বর, তাঁদের ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটা। ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব দেওয়ার, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়।’’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে হিন্দু, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিষ্টানরা যদি এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে নিজের ধর্ম বাঁচাতে, সম্মান বাঁচাতে এই দেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। নিজের দেশে নাগরিকত্ব না থাকায় অপমানিত হতে হত, নরেন্দ্র মোদি হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এই সব মানুষদের নাগরিকত্ব দিয়ে সম্মান দিয়েছেন।’’
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধুমাত্র ৩টি দেশ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ আর পাকিস্তান। আর শুধুমাত্র ৬টা ধর্ম হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি আর খিষ্ট্র ধর্ম। মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা বাদ। ইসলাম ধর্মও বাদ। এটা ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার মূলে কঠোর আঘাত করেছে।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, “ধরুন ইরান থেকে সলমন রুশদি সে উৎখাত হয়ে ভারতবর্ষে হল, তাঁকে কি আমরা জায়গা দেব না? কি দেব? মনে করুন পাকিস্তান থেকে শিয়ারা উৎখাত হয়ে এল, কোনও জায়গা থেকে সুন্নিরা উৎখাত হয়ে এল, তাঁদেরকে আমাদের জায়গায় দেওয়া উচিত নয়? তাঁরা তো অত্যাচারিত।’’
(Feed Source: abplive.com)