হুমকির মুখে মানব সভ্যতা! ২০২৯-এর মধ্যে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হয়ে যেতে পারে AI

হুমকির মুখে মানব সভ্যতা! ২০২৯-এর মধ্যে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হয়ে যেতে পারে AI

বাস্তবেও ঘটে যেতে রজনীকান্তের রোবট ২.০ ছবির মতো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ন্ত্রণ না করা হলে, এটি মানব জীবনের জন্য হুমকির সমান হয়ে উঠতে পারে। আমেরিকান সরকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল এমনটাই। এবার ওই একই কথা বললেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগামী বছরের মধ্যে যে কোনও সাধারণ মানুষের চেয়ে আরও বেশি স্মার্ট হয়ে উঠবে।

মাস্কের এই উক্তি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বর্তমানে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই-এর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন মাস্ক। সে প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে যেখানে এলন মাস্ক, AI কোম্পানি XAI-এর সিইও, বলেছেন যে ২০২৯ সাল নাগাদ এআই বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের চেয়ে আরও স্মার্ট হয়ে উঠতে পারে। আর এই ক্লিপটিই জো রোগান পডকাস্ট থেকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

এদিন রোগান আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ভবিষ্যৎবিদ রেমন্ড কার্জওয়েলের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কার্জওয়েলই জো রোগানকে বলেছেন যে AI ২০২৯ সালের মধ্যে মানব-স্তরের বুদ্ধিমত্তা অর্জন করবে। তাঁর আরও দাবি, ‘আমরা এখনও পুরোপুরি সেই পর্যায়ে পৌঁছোয়নি, তবে খুব শীঘ্রই আমরা সেখানে থাকব, এবং ২০২৯ সালের মধ্যে এটি যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গেই ঘটতে চলেছে।’ কার্জওয়েল আরও উল্লেখ করেছেন যে তিনি ১৯৯৯ সালে একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু তখন অর্থাৎ আজ থেকে ৩০ বছর আগে মানুষ ভেবেছিলেন যে তিনি ‘পাগল’। কিন্তু আজ মানুষ বুঝেছে তিনি ভুল বলেননি। রোগান এই কথাটি বলেছিলেন স্ট্যানফোর্ডের একটি সম্মেলনে। যেখানে আমার ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে কথা বলার জন্য বিশ্বজুড়ে কয়েকশ লোককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি যখন ভবিষ্যৎবাণী করলাম, তখন লোকেরা ভেবেছিল যে এটি ঘটবে, কিন্তু ২০২৯ সালের মধ্যে নয়। তাঁদের মনে হয়েছিল যে আরও ১০০ বছর সময় লাগবে এমনটা ঘটতে।

  • তাহলে কি মানব সৃষ্ট AI-ই মানব জাতির ধ্বংস টেনে আনবে

উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে, ফেসবুক প্যারেন্ট মেটার প্রধান এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন বলেছিলেন যে AI বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীদের এখনও প্রযুক্তিগত সেটিংস তৈরি করতে অনেক সময় প্রয়োজন। তাহলে কি মানব সৃষ্ট AI-ই মানব জাতির ধ্বংস টেনে আনবে! এ প্রসঙ্গেও এআই বিজ্ঞানী কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বলেছিলেন, AI-এর জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিড়াল এবং কুকুরের তুলনায় কম। এবং মানুষের জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা থেকে অনেক দূরে রয়েছে। গত বছর, লেকুন উল্লেখ করেছিলেন যে বৃহৎ ভাষা মডেলের (LLMs) উপর প্রশিক্ষিত জেনারেটিভ এআই খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। তিনি বলেছিলেন যে AI কুকুরের মতো স্মার্টও নয়।

(Feed Source: hindustantimes.com)