তাপমাত্রার পারদ বাড়ায় রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। মঙ্গলবার রাত ও বুধবার তিনটি পৃথক স্থানে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জামিয়া নগর মেট্রো স্টেশনের পার্কিং লটে আগুন লেগেছে যেখানে প্রায় 100টি গাড়ি পুড়ে গেছে। একই সময়ে, লাজপত নগরের বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে যায়, যেটি সবসময় ভিড়ের ভিড়ে ছিল। দমকলকর্মীরা ভবন থেকে প্রায় ৮০ জনকে উদ্ধার করেছে। তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরে। এখানে দুটি কক্ষে আগুন লেগে অনেক জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। তিনটি দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
দুর্ঘটনা নম্বর-1
নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে আগুন লেগেছে।
সময়: মঙ্গলবার রাত-12.18
মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে নর্থ ব্লকের দোতলায়। এখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়। এখানে আচমকাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নম্বর-৮২এ ও ৮২বি নম্বর কক্ষে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ ছাড়াও দমকলের সাতটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে আগুনের সূত্রপাত যা রুমে পৌঁছে। আগুনে কক্ষে রাখা কাগজপত্র, কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। সৌভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। নয়াদিল্লি জেলা পুলিশ আগুন লাগার কারণ জানার চেষ্টা করছে।
দুর্ঘটনা নম্বর-2
জামিয়া নগর মেট্রো স্টেশনের পার্কিং লটে আগুন লেগেছে।
সময়: বুধবার সকাল-০৫.০১
বুধবার সকালে জামিয়া নগর মেট্রো স্টেশনের পার্কিং লটে আগুন লাগে। পুলিশ ছাড়াও ভোর ৫.০১ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস খবর পায় মেট্রো পার্কিং তিকোনা পার্কে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছাড়াও দমকলের ১১টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। মূল পার্কিং লটের থেকে আলাদা একটি অংশ ঢেকে তৈরি একটি ই-রিকশার পার্কিংয়ে আগুন লাগে।
এখানে মেট্রো ফিডার ই-রিকশা পার্ক করা হতো। আগুন লাগার সময় এখানে প্রায় ৩০টি নতুন ও ৫০টি পুরাতন ই-রিকশা উপস্থিত ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচুতে উঠতে শুরু করে। এরই মধ্যে ই-রিকশার ব্যাটারির শব্দও বিস্ফোরিত হয়।
সৌভাগ্যক্রমে, আগুনের সময় রাস্তায় লোকজনের চলাচল কম ছিল। আগুনের কারণে মূল পার্কিং লটে রাখা দশটি গাড়ি, তিনটি দুচাকার গাড়ি এবং অন্যান্য যানও এতে পুড়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ফায়ার ব্রিগেড কোনোভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ দুর্ঘটনার সময় সেখানে কেউ উপস্থিত ছিল না। তাই কোনো হতাহতের খবর নেই।
আগুনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন মেট্রো স্টেশনে পার্ক করা গাড়ি উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। কেউ কেউ তাদের গাড়িও বের করে নেয়। পার্কিং লটে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা জানা যায়নি। জামিয়া নগর থানা পুলিশ আগুন লাগার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছে।