ইডিকে ক্লিনচিট দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাবতীয় পদক্ষেপের লাইসেন্স দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকালই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। এরই মধ্যে ইডির উদ্দেশে মোদীর বার্তা বেশ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে একাধিকবার বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, ইডিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে সেই সব অভিযোগকে তোয়াক্কা না করে মোদী ইডির উদ্দেশে বলেছেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোও সহনশীলতা যেন তারা না দেখায়।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ বার্তায় রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে বিজেপি। এরই মাঝে ইডিকে ‘খুলি ছুট’ দিয়ে মোদী ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর আগামী কার্যকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে ইডিকে নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি যেই লড়াইতে নেমেছি, তাতে আশঙ্কায় ভুগছে অনেকে। এর থেকেই আমাকে গালিগালাজ করে তারা।’ এরপর মোদী পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত ইডি মাত্র ৫০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। আর গত ১০ বছরে ১ লাখ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আমি এজেন্সির কাজে কখনও হস্তক্ষেপ করিনি। মামলার ভিত্তিতে কাজ করারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকারের সময়কালে সব তদন্তকারী সংস্থাকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এভাবেই ইডি বিগত কয়েক বছরে বহু অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।’
বিগত কয়েক বছরে বারংবার ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা এই সংস্থার কাঁধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বভার রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে দেশের তাবড় বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে ইডি। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু রেশন দুর্নীতি, গরুপাচার থেকে কলয়লাপাচার… সবকিছুতেই তদন্ত করছে ইডি। এই আবহে অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো একদা তৃণমূলের হেভিওয়েটরা আজ জেলের পিছনে। অন্য রাজ্যেও ইডি বেশ সক্রিয়। তেলাঙ্গানায় বিআরএস নেত্রী তথা কেসিআর কন্যা কবিতাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে ইডি। এদিকে এখনও পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একাধিকবার তলব করেছে ইডি। আম আদমি পার্টির অন্য তাবড় নেতারাও ইডির জালে জড়িয়ে জেলে গিয়েছেন।
এদিকে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অনুদান করা ফিউচার গেমিং নামক সংস্থা। জানা গিয়েছি, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কিনেছিল। এই ফিউচার গেমিংয়ের মালিক ‘লটারি কিং’ সান্তিয়াগো মার্টিনের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চালাচ্ছে। এছাড়াও এই তালিকায় প্রথম পাঁচটি সংস্থার তিনটিতেই ইডি হানা দিয়েছিল কোনও না কোনও সময়।
(Feed Source: hindustantimes.com)