সাইবার আক্রমণের মুখে সব ভারতীয় ব্যাঙ্ক! সতর্কবার্তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

সাইবার আক্রমণের মুখে সব ভারতীয় ব্যাঙ্ক! সতর্কবার্তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

সাইবার আক্রমণের মুখে পড়তে পারে ব্যাঙ্কগুলি। আগে থেকেই প্রস্তুত হওয়ার জন্য সতর্ক করছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)। এই ধরনের ঝুঁকি কমাতে নিরাপত্তা বাড়াতে বলেছে আরবিআই। আরবিআই পরিদর্শন করে যেখানেই ঘাটতি দেখেছে, সেখানেই অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি পরীক্ষার (CSITE) সর্বশেষ রাউন্ডের পরে মানিকন্ট্রোল রিপোর্ট করেছে এমনটাই।

একজন ব্যাঙ্কার বলেছেন, ব্যাঙ্কগুলির সাইবার নিরাপত্তা ক্ষমতার ঘাটতিগুলি চিহ্নিত করতে আরবিআই আলাদাভাবে একবার পরিদর্শন করে। এইবার, তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করেছে এবং সুরক্ষার স্বার্থে বিভিন্ন অ্যাকশন পয়েন্টগুলির একটি তালিকাও দিয়ে গিয়েছে। যেখানে যেখানে ঘাটতি রয়েছে। সেই সমস্ত জায়গার অ্যাকশন পয়েন্ট এই তালিকায় চিহ্নিত করা রয়েছে।

  • সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা হুমকি

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সাইবার হুমকি বৃদ্ধির পর থেকেই RBI সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলেছে। কারণ সংসদে একটি সরকারি তথ্য অনুসারে, ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি জুন ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মাসের এর মধ্যে হ্যাকার এবং দুর্বৃত্তদের দ্বারা ২৪৮ টি ডেটা লঙ্ঘনের রিপোর্ট করেছে। যার মধ্যে ৪১ টি রিপোর্ট করেছে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি। আর প্রাইভেট ব্যাঙ্কগুলির প্রাইভেট পিয়ার ২০৫ টি কেস রিপোর্ট করেছে। তথ্য অনুযায়ী বিদেশী ব্যাংক দুটি কেস রিপোর্ট করেছে।

  • ব্যাঙ্কের পুরোনো সিস্টেম নতুন করে তৈরি করতে হবে

এর আগেও, আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর টি রবি শঙ্কর বলেছিলেন যে ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে নতুন সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি মুম্বইতে ১৯ তম ব্যাঙ্কিং প্রযুক্তি সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের গ্রাহকদের সুবিধা এবং অন্যান্য বিষয়ের কথা ভাবতে হবে এবং আমাদের সঠিক পরিষেবা প্রদান করতে হবে’। তিনি আরও হাইলাইট করেছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) অপব্যবহার বাড়ায়। এই ধরনের সাইবার ঝুঁকিগুলিও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাই হুমকিগুলি চিহ্নিত করতে এবং এগুলি কমানোর জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের এনক্রিপ্ট করা সিস্টেমগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নতুন করে তৈরি করতে হতে পারে৷

উল্লেখ্য, গত বছরেই ব্যাঙ্কের সামান্য ভুলের কারণে ৮২০ কোটি টাকা পৌঁছে গিয়েছিল কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, যার মধ্যে ফেরত আসেনি প্রায় দু’শো কোটি টাকা! ঘটনাটি ঘটেছিল UCO ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ব্যাঙ্ক বলেছিল, কিছু টেকনিক্যাল অসুবিধার কারণে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট পরিষেবার (IMPS) মাধ্যমে কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৮২০ কোটি টাকা জমা হয়েছিল। ব্যাঙ্ক তার ভুল বুঝতে পেরে টাকা তোলার প্রক্রিয়া শুরু করলেও ৬৪৯ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করতে পারেনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)