ক্রশ ভোটিংয়ে হার, এবার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে সওয়াল সিংভির

ক্রশ ভোটিংয়ে হার, এবার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে সওয়াল সিংভির

হিমাচল প্রদেশের ৬জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির হয়ে ভোট দিয়েছিলেন রাজ্যসভার ভোটে। এদিকে ওই ৬জন বিধায়কের পদ খারিজের যে সিদ্ধান্ত স্পিকার জানিয়েছেন তাতে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত হিমাচল প্রদেশের স্পিকারের অফিস থেকে জবাব চেয়েছেন। মে মাসে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে ওই খারিজ হওয়া বিধায়কদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। বিচারপতি খান্না জানিয়েছেন, আমরা নোটিশ পাঠাতে পারি। কিন্তু স্থগিতাদেশ দিতে পারি না। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।

অভিষেক মনু সিংভি ছিলেন হিমাচল প্রদেশের স্পিকারের পক্ষে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিংভিই ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আর এমএলএদের ক্রশ ভোটিংয়ের জেরে তাঁর পরাজয় হয়েছিল।

সিংভি আদালতে জানান, ৩২৯ ধারাকে পুরো উড়িয়ে দেওয়া হল।এদিকে ৬জন কংগ্রেস বিধায়ক স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা করেছিলেন। স্পিকার তাদের বিধানসভার পদ থেকে খারিজ করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই ৬ জন বিধায়ককে তাঁদের পদ থেকে খারিজ করা হয়েছিল। কংগ্রেস প্রার্থী ডঃসিংভি পরাজিত হয়েছিলেন তাঁদের ক্রশ ভোটিংয়ের জেরেই। পার্টির হুইপ থাকা সত্ত্বেও তারা এই কাজ করেছিলেন বলে খবর।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও হিমাচলের রাজ্যসভা আসনে হেরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। অন্যদিকে, বিজেপির হর্ষ মহাজন এই ভোটে জিতে গিয়েছিলেন। ঘটনার পরই হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলের নেতা জয়রাম ঠাকুর বলেছিলেন, ‘আমরা জয়ের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। বিধায়করা ওঁকে ছেড়ে দিয়েছিলেন এক বছরের মাথায়।’

এদিকে, ভোটে হেরে যাওয়ার পর ক্ষোভ উগরে দেন হিমাচল থেকে দাঁড়ানো রাজ্যসভায় কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানাতে চাই হর্ষ মহাজনকে তিনি জিতেছেন। তবে আমি তাঁর পার্টিকে বলতে চাই একটু আত্মসমীক্ষা করুন। যখন ২৫ জন সদস্যের দল একজন প্রার্থীকে দাঁড় করায় ৪৩ জন সদস্যের প্রার্থীর বিরুদ্ধে, … তখন বার্তা একটাই আমরা যা করব নির্লজ্জভাবে করব, যা আইনে নেই। ’

অভিষের মনু সিংভি বলেছিলেন, ‘আমি ৯ জনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তাঁরা মানুবিক স্বভাব নিয়ে পাঠ দিয়েছেন। তাঁরা ডিনার, ড্রিঙ্ক, ফটোগ্রাফি করেছেন গতরাতের ১১ টা পর্যন্ত। ৩ জন বা ২ জন আমাদের সঙ্গে ব্রেকফাস্টও করেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)