MIRV-Capability: ভারতের নতুন অস্ত্রে ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান? কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জবাব দিতে চাইছে তারা?

MIRV-Capability: ভারতের নতুন অস্ত্রে ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান? কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জবাব দিতে চাইছে তারা?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংশ্লিষ্ট মহলের পর্যবেক্ষণ, দুটি দেশ বরাবর পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ। আপাতভাবে, সরকারি ভাবে, বৈদেশিক সম্পর্ক মোতাবেক হয়তো পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে, কিন্তু সারা পৃথিবী জানে, এদুটি দেশ পরস্পরের প্রতি একটা চাপা অসূয়া পোষণ করে। সম্প্রতি একটি যুদ্ধাস্ত্রকে কেন্দ্র করে দুটি দেশের মধ্যে নতুন করে টেনশন তৈরি হল।

কী সেই অস্ত্র?

সেটাকে ‘দিব্যাস্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। এই অস্ত্রটির প্রযুক্তির পোশাকি নাম– ‘মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকল’ বা ‘এমআইআরভি’ (MIRV)। এই প্রযুক্তিযুক্ত অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রকে নিয়েই যত চাপানউতোর। জানা গিয়েছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যেই একধিক ওয়ারহেড নিক্ষেপ করা যাবে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেই একসঙ্গে নিশানা করা যাবে বেজিং, সাংহাই, ইসলামাবাদের মতো শহরগুলিকে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, ভারতের সামরিক ক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আর এর ফলে কপালে ভাঁজ পড়ছে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির কপালে। চিন্তায় পাকিস্তানও।

কিন্তু চিন্তায় থেকে কী বলছে তারা? তারা বলছে, তাদের আছে নিজস্ব এমআইআরভি প্রযুক্তিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ‘আবাবিল’। পাকিস্তানের শাহিন ক্ষেপণাস্ত্রগুলির বিরুদ্ধে ভারত সফল প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যার জেরে পাকিস্তানও এমআইআরভি প্রযুক্তি হাতে পেতে মরিয়া। ‘আবাবিল’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের আওতায় গবেষণা চলছে। ছ’বছর আগে, ২০১৭ সালেই তারা দাবি করেছিল, এই প্রযুক্তি অর্জন করেছে তারা। কিন্তু, তারপর থেকে মাত্র ২-৩ বার তারা এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করেছে। গত বছরের নভেম্বরে শেষবার পাকিস্তান এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করেছিল।

সম্প্রতি পাক সামরিক বিশ্লেষক তথা অধ্যাপক ড. জাফর নওয়াজ জসপাল ভারতের হাতে এমআইআরভি প্রযুক্তি এসে যাওয়ায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা যে ঝুঁকির মুখে, নিজের একটি লেখায় তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ভারতের হাতে এর আগেই যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছিল, তাতে সব বড় পাক শহরেই হামলা চালাতে পারত ভারতীয় সেনা।

ভারতের এমআইআরভি প্রযুক্তি পাকিস্তানের জটিলতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে যেসব সুরক্ষাব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেছে, এই নয়া প্রযুক্তি সেগুলিকে ভোঁতা করে দিয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছিল, প্রাথমিকভাবে তাদের পরীক্ষা সফল। পরে তা যে সত্য নয়, তা ধরা পড়ে যায়।

(Feed Source: zeenews.com)