রাঁধলেন লকেট, ভাত বেড়ে খাওয়ালেন রচনা! ১৭ কোটির হিসাবও দিলেন বিজেপি নেত্রী

রাঁধলেন লকেট, ভাত বেড়ে খাওয়ালেন রচনা! ১৭ কোটির হিসাবও দিলেন বিজেপি নেত্রী

হুগলিতে এবার তারকাখচিত লড়াই। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম-ফুটেছিল হুগলিতে। লকেটেই আস্থা রেখেছেন মোদী। অন্যদিকে লকেটকে টেক্কা দিতে মমতার ভরসা বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’।

রাজনীতির ময়দানে পোড় খাওয়া লকেটের কাছে একদম আনকোড়া রচনা। কিন্তু এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে না-রাজ গোটা বাংলার দিদিদের প্রিয় পাত্রী। রাজনীতিতে এসে ইতিমধ্যেই বেশকিছু আলটপকা মন্তব্য করে ট্রোলের মুখে পড়েছেন রচনা, কিন্তু জনসংযোগে কমতি রাখছেন না। মঙ্গলবার দুই তারকা প্রার্থীকে পাওয়া গেল ভিন্ন ভূমিকায়। একজন খোলা আকাশের নীচে খুন্তি নাড়লেন। অন্যজন নিজের হাতে ভাত বেড়ে খাওয়ালেন!

চন্দননগরে বোরাইচণ্ডী মন্দিরে পুজো দিয়ে, মাজারে চাদর চড়িয়ে পায়ে হেঁটে ভোটপ্রচারে বার হন রচনা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমার জীবনে নতুন করে কিছু পাওয়ার নেই। নাম করে নিয়েছি, খ্যাতি রয়েছে। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, জীবনের শেষ ১৫-২০টা বছর যদি মানুষের জন্য় কিছু করতে পারি তাহলে খুশি হব’। দিদি নম্বর ১ হতেই এখানে এসেছেন তিনি, স্পষ্ট জানান রচনা।

এদিন রাজহাট এলাকায় ওলাবিবি তলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই সময় রাজহাট ওলাবিবি তলায় অনুষ্ঠিত হয় রান্না পুজো উৎসব। হুগলির মানুষের এই প্রাচীন প্রথায় সামিল হলেন লকেট। এদিন গ্রামের মানুষ ওলাবিবিতলার পাশের বাগানে রান্না করেন, এরপর চলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। ওলা বিবিতলা থেকে প্রার্থনা করে বেরিয়ে গ্রামের মেয়েদের সঙ্গে রান্নার কাজে হাত লাগান লকেট। বিদায়ী সাংসদকে ঘিরে জমে ওঠে ভিড়, চলে সেলফি তোলার আবদার। জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ভরে ওঠে এলাকা।

লকেট যখন রান্নায় ব্যস্ত তখন চন্দননগরের একতা লজে দলীয় কর্মীদের ভাত বেড়ে খাওয়ালেন রচনা, চলল একতা ভোজ। মঙ্গলবার ছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের চতুর্থ দিন। এতদিন বন্ধু রাগ আওড়ালেও এদিন লকেটের উদ্দেশে রচনার প্রশ্ন ছিল, পাঁচ বছরে সাংসদ হিসাবে হুগলির মানুষের জন্য কী কাজ করেছেন লকেট?

সংবাদমাধ্যম মারফত সেই খবর কানে পৌঁছাতেই  প্রার্থী পরিচিতির হ্যান্ড বিল দেখিয়ে লকেট জানান, গত পাঁচ বছরে তাঁর সাংসদ তহবিলের ১৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে । করোনার জন্য দু বছর কেন্দ্রের তরফে টাকা বরাদ্দ হয়নি, তবে প্রাপ্য টাকা সেই টাকাতে জল ,স্বাস্থ্য, পথবাতি , স্কুলের উন্নয়ন, অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন কাজে খরচ করেছেন। সংসদ কোটার ১০০ শতাংশ টাকাই খরচ করেছেন তিনি, জানান লকেট।

(Feed Source: hindustantimes.com)