‘পরের বউকে আদর করলে…’, কাঞ্চনের অভিযোগ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই, পিঙ্কি ব্যস্ত কীসে?

‘পরের বউকে আদর করলে…’, কাঞ্চনের অভিযোগ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই, পিঙ্কি ব্যস্ত কীসে?

এই মুহূর্তে টলিপাড়ার ভাইরাল কপল কাঞ্চন- শ্রীময়ী। হাঁটুর বয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে তিন নম্বরবার ছাদনাতলায় বসেছেন কাঞ্চন। চলতি মাসের শুরুতেই ধুমধাম করে সামাজিক বিয়েটা সারেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। যদিও প্রেম দিবসেই সই-সাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন তাঁরা।

কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে ভাঙা দাম্পত্য নিয়ে বেশকিছু মন্তব্য করে ছিলেন পিঙ্কি। বিয়ে নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করা উচিত বলে মনে করেন কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী। পিঙ্কির সেই সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে পালটা জবাবও দিয়েছেন কাঞ্চন। সেখানে পিঙ্কির যেভাবে ছেলে ওশের লালন-পালন করছেন, সেই নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন তারকা বিধায়ক।

যদিও সেই-সবকে পাত্তা দিতে না-রাজ পিঙ্কি। তিনি ব্যস্ত নিজের জীবন নিয়ে। অতীতে ফিরে তাকানোর তাগিদ নেই তাঁর কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাহুডোরে ধরা দিলেন পিঙ্কি। তবে না এটা রিয়েলে নয়, রিলে। বছর দুয়েক আগে ক্লিক প্ল্যাটফর্মে একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছিলেন দুজনে। সিরিজের নাম রূপকথার রেডিও। সেই সিরিজের একটি অংশ এদিন সোশ্যালে শেয়ার করেন অভিনেত্রী।

সিরিজে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজনে। রোম্যান্টিক একটি দৃশ্যই ভাগ করে নেন পিঙ্কি। পর্দায় বরকে কড়া শাসনে রাখেন তিনি শুধু তাই নয়, বর রীতিমতো তাঁর কথাতেই উঠে বসে। পিছন থেকে এসে স্ত্রীকে জাপটে ধরে চৌধুরী বাড়ির ছেলে। এটা কী হচ্ছে? এহেন বাঁকা প্রশ্ন শুনে সটান জানায়, ‘নিজের বউকে একটু আদর করছি’। পালটা জবাবে পিঙ্কি বলে ওঠেন, ‘পরের বউকে আদর করলে তুমি যা পে*নি খাবে না, তুমিই জানো’।

২০২১ সালে ক্লিকে মুক্তি পেয়েছিল এই সিরিজ। যা পরিচালনা করেছিলেন, সায়ন সেনগুপ্ত। অপর এক রিল ভিডিয়োয় প্রায় নো-মেকআপ লুকে ধরা দিলেন পিঙ্কি।

পিঙ্কির বার্তা

চুলে পাক ধরেছে। মুখে বয়সের ছাপ। সেটা লুকানোরো কোনও চেষ্টা করেননি কাঞ্চনের প্রাক্তন। তাঁর বার্তা, ‘আমি ফ্যাশনেবলি সাহসী, সেটাই আমার স্টাইল’। জীবনের সত্যিকে হাসিমুখে আপন করে নিতে জানেন তিনি, বুঝিয়ে দিলেন অক্ষরে অক্ষরে।

প্রসঙ্গত, পিঙ্কির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর। প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন পিঙ্কির লালনপালনকেও। কাঞ্চন বলেন, ছেলের ভিসিটিং রাইটের জন্য তিনবার আবেদন করেছিলেন কিন্তু রাজি হননি পিঙ্কি। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপাড়ার বিধায়ক বলেন, ‘চার নম্বরবার কড়াভাবে আদালত বললে আসে কোর্টে। কোর্টের ঘরে ছেলেকে নিয়ে এসেছিল। আমি সেটা চাইনি। ওই দেখাটার পর আমি কখনও চাইনি নিজের ছেলেকে কোর্টে টেনে আনব’।

তিনি আরও বলেন,  ‘শৈশবকে প্রস্ফুটিত হতে দিক। কেউ প্রৌঢ়ত্বে গিয়ে শৈশবের মতো কথা বললে যেমন সেটা আন-ন্যাচরাল লাগে, তেমনই কেউ শৈশবে যদি বৃদ্ধের মতো কথা বলে সেটা আন-ন্যাচরাল লাগে। আমি চাই, আমার ছেলের শৈশবটা প্রস্ফুটিত হতে দেওয়া হোক’।

(Feed Source: hindustantimes.com)