মিমি-নুসরতদের টিপস নিতে চান না! ‘ওদের একটা প্রশ্নই করতে চাই’ বলছেন রচনা

মিমি-নুসরতদের টিপস নিতে চান না! ‘ওদের একটা প্রশ্নই করতে চাই’ বলছেন রচনা

গত (২০১৯) লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান। ভোটে জিতে যাদবপুরের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন মিমি, আর নুসরত হয়েছিলেন বসিরহাটের সাংসদ। তবে এবার আর তাঁদের টিকিট দেয়নি তৃণমূল। যদিও রাজনীতি থেকে আগেই সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন মিমি।

এদিকে এবার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নতুন চমক ছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি থেকে প্রার্থী হয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হতেই ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন রচনা। তবে এর আগে তৃণমূলের প্রাক্তন দুই তারকা সাংসদ মিমি, নুসরতের কাছ থেকে কি কোনও টিপস নিয়েছেন রচনা?

এবিষয়ে টিভি9-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রচনা বলেন, মিমি-নুসরতদের কাছে টিপস নেওয়ার কথা তাঁর মাথাতেও আসেনি, প্রয়োজনও পড়েনি। রচনা বলেন, ‘সবকিছু এত তাড়াতাড়ি হয়েছে, যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। আমি তো দিদিকে নতুন চিনি না। নেত্রীকে আমি ২০১১ সালের আগে থেকেই চিনি। রাজনীতিতে হয়ত এখন এলাম, তবে পরিচিতি অনেক দিনের।  দিদি আমাকে পাশে থাকতে বলেছিলেন, সেটাই বড় কথা।’ আর সেই কারণেই যাঁরা নতুন প্রজন্ম অল্পদিন রাজনীতি করছেন, তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি রচনা।

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যদি মিমি-নুসরতের সঙ্গে তাঁর সামনাসামনি দেখা হয়, তাহলে তাঁদের প্রশ্ন করবেন, কেন তাঁরা দিদির পাশে নেই? যদিও ওঁদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে তাঁর চিন্তাভাবনা নাও মিলতে পারে বলে জানান রচনা। তাঁর কথায়, ‘আমি রাজনীতিতে আসব কি আসব না, সেবিষয়ে ওদের কথামতো সিদ্ধান্ত নেব, এমন ভাবনা আমার কোনওদিনও ছিল না।’

এদিন রচনার কথায় গুরুত্ব পান, তৃণমূলের অন্য একজন তারকা সাংসদ। তিনি হলেন শতাব্দী রায়। যিনি ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল সাংসদ। বীরভূম থেকে জিতে হ্য়াট্রিক করে ফেলেছেন। রচনা জানান, এক্ষেত্রে তিনি শতাব্দী রায়ের থেকে টিপস নিতে বেশি আগ্রহী।

এদিকে গত রবিবার, ২৪ মার্চ হুগলি জেলার সিঙ্গুরের বেগমপুর হাটতলার বসন্ত উৎসবে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন সেখানেই প্রচারের ফাঁকে রচনা হুগলি জেলার দিদির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি যদি এখান থেকে জিততে পারি তাহলে জি বাংলার কর্তৃপক্ষকে বলব যাতে হুগলি জেলার দিদির আগে ডাকা হয়। আমি ওদের বলে দেব যে আমায় যদি দিদি নম্বর ওয়ান করে রাখতে চাও তাহলে হুগলি জেলার যে দিদিরা আমায় ভোট দিয়ে নির্বাচনে জয়ী করেছে তাঁদের আগে ডাক। তারপর বাকি সবাই আসবে।’  রচনার এই মন্তব্য ভাইরাল হয়। যদিও এই মন্তব্য নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিরোধী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

(Feed Source: hindustantimes.com)