কোস্টারিকাকে হারাল আর্জেন্তিনা, শেষ মুহূর্তের গোলে স্পেনকে জিততে দিল না ব্রাজিল

কোস্টারিকাকে হারাল আর্জেন্তিনা, শেষ মুহূর্তের গোলে স্পেনকে জিততে দিল না ব্রাজিল

মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে স্পেনের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও স্পেন। এই সময় স্পেনের প্রায় নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিল ব্রাজিল। ৬ গোলের থ্রিলার ম্যাচের উপহার পেল বিশ্ব ফুটবল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্পেনকে ৩-৩ গোলে রুখে দিল ব্রাজিল। ম্যাচের একটা সময়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। এরপর দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়ায় তারা ২-২ গোলে সমতায় ফেরে সেলেকাওরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মুহুর্তে পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে স্পেনের জয় রুখে দিল সাম্বার দেশ। ম্যাচের ফলাফল ৩-৩। অমীমাংসিতভাবে ম্যাচ শেষ হলেও দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো ফুটবল উপহার দিল দুই দলই।

প্রায় ১১ বছর আগে ২০১৩ সালের ৩০ জুন কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন ও ব্রাজিল। সেই ম্যাচে স্পেনকে ৩–০ গোলে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। তার পরে আর কখনই মুখোমুখি হয়নি বিশ্ব ফুটবলের এই দুই দেশ। তাই দুই দলের লড়াই দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়েতে। ম্যাচের শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে স্পেন। ১১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে লামিনে ইয়ামালকে ফেলে দেন জোয়াও গোমেজ। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রদ্রি। ভিনিসিয়ুস ও রদ্রিগোরা প্রতি আক্রমণ থেকে বেশ কয়েকবার স্পেনের বক্সে হানা দিয়েছিল। যদিও তাতে লাভ হয়নি। ৩৬ মিনিটে ইয়ামালের কাছ থেকে পাওয়া পাস থেকে ফের স্পেনকে এগিয়ে দেন দানি আলমো। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ব্রাজিলকে কার্যত গোল উপহার দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোনে। তার ভুলে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান রদ্রিগো। ব্যবধান কমায় ব্রাজিল। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে স্পেন।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়াকে তুলে ফিলিপে এনদ্রিককে নামান ব্রাজিল কোচ দরিভিলো। আর ওই পরিবর্তন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ৫০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে থেকে দৃষ্টিনন্দন এক ভলিতে স্পেনের জাল কাঁপিয়ে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান ১৭ বছর বয়সি ফুটবলার। স্পেনের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়দের দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। ম্যাচে সমতা ফেরার পরে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায়। ৮৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে কারভাহালোকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্পেন। ওই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বক্সের মধ্যে গালেনোকে ফাউল করে ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেন কারভাহালো। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান লুকাস পাকেতো। খেলা ৩-৩ গোলে শেষ হয়।

এদিনের অন্য ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে কোস্টারিকাকে ৩-১ গোলে হারায় আর্জেন্তিনা। প্রথমার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্তিনা। উল্টো কোস্টারিকার স্ট্রাইকার ম্যানফ্রেড উগালদের গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। তবে দ্বিতীয় হাফে ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্তিনা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে ম্যাক অ্যালিস্তারকে ফাউল করে কোস্টারিকার ফুটবলার। সেখান থেকে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্তিনা। সেই ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেন ডি মারিয়া। তার চার মিনিট পরেই কর্নার থেকে গোল করে আর্জেন্তিনাকে ম্যাচে এগিয়ে দেন ম্যাক অ্যালিস্তার। এরপরও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্তিনা। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে যায় তারা। ডি মারিয়ার ক্রস ডি-বক্সের ভিতরে থাকা কোস্টারিকার ফুটবলাররা ক্লিয়ার করতে পারেনি। জটলা থেকে বল পেয়ে জালে জড়ান লাউতারো মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত ৩-১ জিতে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্তিনা।

(Feed Source: hindustantimes.com)