বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, দিনের আকাশে ফুটে উঠবে শুক্র-বৃহস্পতি!

বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, দিনের আকাশে ফুটে উঠবে শুক্র-বৃহস্পতি!

দিনেই ঘিরে ধরবে ঘোর কালো অন্ধকার। হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। মূলত, তারায় ভরা রাতের আকাশ সবসময়ই মানুষকে আকর্ষণ করে। তবে দিনের বেলায়ও যদি কোনও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা ঘটে, তাও সবসময় মানুষকে আকর্ষণ করে। এই ঘটনাটি একটি সূর্যগ্রহণ, যা অত্যন্ত বিরল। বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহ্যে কিন্তু এর গুরুত্ব রয়েছে। আবারও ঘটতে যাচ্ছে সূর্যগ্রহণ। বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ৮ এপ্রিল দৃশ্যমান হবে। তবে ভারতে নয়, মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডায় দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ। বিড়লা তারামণ্ডল জানিয়েছে, এদিন দুপুর বেলাতেই আকাশে নজর টানবে দুই গ্রহ, শুক্র ও বৃহস্পতি।

  • সূর্যগ্রহণ ২০২৪ : সময়

এদিন ৭ মিনিট পর্যন্ত সূর্যকে দেখা যাবে না। ৮ এপ্রিলের সূর্যগ্রহণ রাত ৯:১২ টায় শুরু হবে। আর শেষ হবে ২:২২ টায়।

  • সূর্যগ্রহণ কী

সূর্য সৌরজগতে স্থির। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। এই সময়কালে, অনেক সময় একটি উপলক্ষ আসে যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে চলে আসে। এ কারণে সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসা আলো কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত হয়। একেই সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এই ঘটনাটি মহাকাশ থেকে দেখা গেলে পৃথিবীতে একটি বিশাল ছায়া দেখা যাবে, যা হবে চাঁদের ছায়া। সূর্যগ্রহণ তিন প্রকার।

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ: এটি বিরলতম। একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ অত্যন্ত নাটকীয় একটি বিষয়। এতে চাঁদ সম্পূর্ণরূপে সূর্যকে ঢেকে দেয়। চাঁদ যখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে তখন তাকে বলা হয় সমগ্রতা। এটি বেশ কয়েক মিনিট সময় নেয়। সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে কয়েক মিনিটের জন্য অন্ধকার থাকে। এটি পৃথিবীর খুব কম জায়গায় দৃশ্যমান হয়। ১৮ মাস পর পর একটি করে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়।

আংশিক সূর্যগ্রহণ: আংশিক সূর্যগ্রহণে চাঁদের শুধুমাত্র একটি অংশ আবৃত থাকে। এটি পৃথিবীতে আংশিক ছায়া তৈরি করে। এই ধরণের সূর্যগ্রহণ মোট সূর্যগ্রহণের চেয়ে বৃহত্তর অঞ্চলে দৃশ্যমান হয়।

বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ: চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে না দিলে বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ ঘটে। এ কারণে আকাশে একটি ‘রিং অফ ফায়ার’ দেখা যায় এই সময়। এই ‘রিং অফ ফায়ার’ হল সূর্য থেকে আসা আলো। এই গ্রহণের সময়, চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে থাকে, যার কারণে এটি সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে রাখতে পারে না।

উল্লেখ্য, এছাড়াও অনেক সময় সূর্যের কখনও আংশিক গ্রহণ হয়, কখনও পূর্ণগ্রাস, কখনও বলয়গ্রাস বা ‘রিং অফ ফায়ার’ গ্রহণ হয়। এই তিনটি গ্রহণ পরপর হলে, এটি হবে হাইব্রিড বা শংকর সূর্যগ্রহণ।

(Feed Source: hindustantimes.com)