কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও করুণাময় সিংহ, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পর এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Gour Banga)। রাজ্যপাল সরানোর পরেও সেই উপাচার্যকেই পদে বহাল রাখল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের।
কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রাজ্যের: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূলপন্থী অধ্য়াপকদের সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র ভোট প্রচারের অভিযোগ। দুদিনের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে সরালেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “ওঁর যেহেতু গোঁসা হয়েছে রাত্রিবেলা বা কুপিত হয়েছেন উনি। ওঁর যে নানা রকম কবিরাজি অনিদ্রা রোগ রয়েছে সেই সবের কারণে ক্ষেপে গিয়ে উনি সরিয়ে দিলেন গৌড়বঙ্গের যে কেয়ারটেকার উপাচার্য আছেন।’’
রাজভবনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে হেঁটে, রাজ্যপালের সরিয়ে দেওয়া অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে রজতকিশোর দে-কে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।এই মর্মে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে বিজ্ঞপ্তিও পাঠিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। এপ্রসঙ্গে রজতকিশোর দে বলেন, “রাজ্য সরকারের যে নতুন নির্দেশিকা এসেছে, সেই নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে, আমি আগামী দিনে উপাচার্যের যে দায়িত্ব পালন করা কর্তব্য বলে মনে করছি। সেটাই পালন করব।’’
শনিবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল পন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠান থেকে সমস্যার সূত্রপাত।বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্রাত্য বসুর ছবি দেওয়া একাধিক কাট আউট ছিল। অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান এবং মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। আদর্শ আচরণ বিধি চালু থাকাকালীন কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ধরনের সম্মেলন সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে মালদা জেলা বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।এরপরই সম্মেলনের দু’দিনের মাথায় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য রজতকিশোর দে কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন রাজ্যপাল। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের অপসারনের পর উপাচার্যকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
(Feed Source: abplive.com)