বাইজুস। একটা সময়ে অনেকের কাছেই ছিল বড় চাকরির জায়গা। আর সেই বাইজুস থেকেই একের পর এক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ। মন খারাপ করা সেই সব কাহিনি।
এই যেমন রাহুল। তিনিও ছিলেন বাইজুস এডিটেক কোম্পানির এক কর্মচারী। তাঁর পরিরাবের এক আপনজন অসুস্থ ছিলেন। সেকারণে তিনি মার্চ মাসের মাঝামাঝি ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এদিকে নিউজ ১৮এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ৩১শে মার্চ ওই যুবকের কাছে একটা ফোন এসেছিল। কোম্পানির HR বিভাগ থেকে তাঁর কাছে এই ফোনটি আসে। সেখান থেকে তাঁকে বলা হয়, তাঁকে কাজ থেকে বসানো হচ্ছে। আর এই দিন থেকেই এটা কার্যকরী করা হচ্ছে। এবার প্রশ্ন ওঠে, কেন তাঁকে আচমকা ছাঁটাই করা হচ্ছে?
সেই প্রশ্নের উত্তরে HR বলেন কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সেকারণেই তাঁকে ছাটাই করা হচ্ছে। এমনকী ম্যানেজমেন্ট ইতিমধ্যেই একটি তালিকা পাঠিয়েছে। যেখানে একাধিক নাম রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এই খবরটা শোনার পরেই ভেঙে পড়েন রাহুল। তিনি ফোনটা রেকর্ডিং করছিলেন। সেই সময় এইচআর তাকে বলেন আপনি ফোন রেকর্ডিং করছেন কেন?
অনুমিত ছাড়া তিনি এটা কেন করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই আধিকারিক। এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয়। এমনকী HR তার নম্বরও ব্লক করে দেন।
তবে রাহুল একলা নন। মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে কোথাও কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কোনও নোটিশ পিরিয়ডও নেই। ফোন করে বলা হচ্ছে আপনার চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এতটাই অমানবিক পরিস্থিতি।
এদিকে গত ২ বছরে অন্তত ১০,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বাইজুস। এই পর্বে অন্তত ১০০-৫০০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এদিকে একাধিক সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে বাইজুসের ভারতের কোম্পানি পে রোলে অন্তত ১৪,০০০ কর্মচারী কাজ করেন।
তবে মানি কন্ট্রোলের প্রশ্নের জবাবে বাইজুসের মুখপাত্র জানিয়েছেন,বর্তমানে যে আইনি প্রক্রিয়া চলছে তার জেরে আমরা একটা অভাবনীয় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। সেক্ষেত্রে প্রতিটি কর্মীই নানা সমস্যার মধ্য়ে, নানা চাপের মধ্য়ে পড়েছেন।
তবে ফোনের পরে একটা ইমেলও আসছে। রাহুলের কাছেও তেমন একটা মেল এসেছিল। সেখানে লেখা ছিল, থিঙ্ক অ্য়ান্ড লার্ন প্রাইবেট লিমিটেডে আপনার শেষ কাজের দিন হল ৩১শে মার্চ ২০২৪। আপনার কাছে কোম্পানির যে সমস্ত সামগ্রী রয়েছে সেগুলি দিয়ে দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করা হচ্ছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)