সিভি আনন্দ বোসকে কড়া বার্তা রাজ্যের, স্মরণ করানো হল সাংবিধানিক এক্তিয়ার

সিভি আনন্দ বোসকে কড়া বার্তা রাজ্যের, স্মরণ করানো হল সাংবিধানিক এক্তিয়ার

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা :  লোকসভা ভোটের ( Loksabha Election ) আবহে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাত আরও তীব্র চেহারা নিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ( Bratya Basu )অপসারণের সুপারিশ-বিতর্কের মধ্যেই সিভি আনন্দ বোসকে কড়া বার্তা দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুর অপসারণের নির্দেশ দেন সি ভি আনন্দ বোস । পাল্টা রাজ্য়পালের সুপারিশকে হাস্য়কর বলে উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী । এরপরই রাজ্যের পাল্টা বার্তা গেন রাজভবনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে আচার্যর কী ভূমিকা এবং সেখানে রাজ্য সরকারের সীমারেখা কতটা সেকথা স্মরণ করিয়ে বুধবার নবান্নে রিপোর্ট কার্ড পাঠিয়েছিল রাজভবন।  রাজ্যপালের এই রিপোর্ট কার্ডের জবাব দিতে গিয়ে, ৯ পাতার চিঠির ছত্রে ছত্রে তাঁকে সাংবিধানিক এক্তিয়ার স্মরণ করিয়ে দিল রাজ্য সরকার। ‘আচার্য তথা রাজ্যপাল বিধিবহির্ভূতভাবে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন। পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’  রাজভবনের রিপোর্ট কার্ডের প্রত্যুত্তরে এমনই কড়া জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার।

শনিবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল পন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠান থেকে সমস্যার সূত্রপাত। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্রাত্য বসুর ছবি দেওয়া একাধিক কাট আউট ছিল। অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান এবং মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। আদর্শ আচরণ বিধি চালু থাকাকালীন কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ধরনের সম্মেলন সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে মালদা জেলা বিজেপি ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। এরপরই সম্মেলনের দু’দিনের মাথায় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য রজতকিশোর দেকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন রাজ্যপাল। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের অপসারনের পর উপাচার্যকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিকে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের সংঘাতের আবহেই, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলির জন্য নতুন অ্যাডভাইসারি জারি করল উচ্চ শিক্ষা দফতর। কঠোর ভাবে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে।

(Feed Source: abplive.com)