নয়া দিল্লি : লাদাখে (Ladakh) চিন (China) যেসব কার্যকলাপ করছে তা “চোখ খুলে” রাখার মতো। সেখানে যেসব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তা যথেষ্ট “উদ্বেগজনক”। এমনই মন্তব্য করলেন আমেরিকার জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন। ফ্লিন আমেরিকা সেনার কমান্ডিং জেনারেল।
আমেরিকার তরফে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেখভাল করেন তিনি। বাছাই কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে তিনি মন্তব্য করেন, “আমি মনে করি, যে সেখানে যে পর্যায়ে কার্যকলাপ হচ্ছে তাতে চোখ খুলে রাখা উচিত। ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে যে সব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত।” চিনের এই পদক্ষেপকে তিনি “অস্থিতিশীল এবং ক্ষতিকারক আচরণ” বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্যাংগং সো হ্রদের চিনা (China) অংশে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে চিন। যেখানে সেতুটি হচ্ছে সেটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে।
কী বলে বিদেশমন্ত্রক ?
বিদেশমন্ত্রকের (Ministry Of External Affairs ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, দ্বিতীয় ব্রিজটি তৈরির ব্যাপারে রিপোর্ট দেখা হয়েছে। বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। চিনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই সেতুটি দিয়ে ভারী সামরিক যান আনার কাজ হবে। প্যাংগং লেকের চিনা অংশে ওই সেতু দিয়ে ট্য়াঙ্ক, ভারী কামানের মতো জিনিস আনা-নেওয়া হবে। তাহলে ভারত-চিন সীমান্তের একেবারে দোরগোড়ায় ভারী সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী পৌঁছতে পারবে চিন। ড্যামিয়েন সাইমন নামে এক বিশেষজ্ঞ যিনি দীর্ঘদিন ধরে Line of Actual Control-এ চিনের গতিবিধির দিকে নজর রাখছেন তিনি স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেন টুইটারে। নতুন সেতুর সঙ্গে জোড়ার জন্য রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। টুইটে ছবি দিয়ে এমনটাই লেখেন ড্যামিয়েন সাইমন (Damien Symon)। এর আগেই একটি ব্রিজ তৈরি করেছিল চিন, দ্বিতীয় ব্রিজটি তার পাশেই হচ্ছে।
(Source: abplive.com)