দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নায় তুমুল বিক্ষোভ, শান্তনু সেন-সহ প্রতিনিধিদলকে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে

দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নায় তুমুল বিক্ষোভ, শান্তনু সেন-সহ প্রতিনিধিদলকে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে

বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: বিজেপি-এনআইএ যোগসাজশের অভিযোগে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে নালিশ (TMC Dharna In Front Of ECI) জানিয়ে ধর্না দিল তৃণমূল। মোদি-সরকারের বিরুদ্ধে এনআইএ-কে অপব্যবহারের অভিযোগে দিল্লিতে ধর্না জোড়াফুলের। ২৪ ঘণ্টার ধর্না দিল বাংলার শাসক দল।পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধ্বস্তাধ্বস্তি। টেনেহিঁচড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে সরাল পুলিশ। শান্তনু সেন-সহ প্রতিনিধিদলের সদস্যদের তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।

কী ঘটল?
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ কার্যত নিয়মিত তুলে আসছে বিরোধীরা। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি-বিজেপি যোগের অভিযোগে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আয়কর দফতরের প্রধানের অপসারণের দাবিতে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেখানেই কার্যত ধুন্ধুমার লেগে যায়। শান্তনু সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেনের মতো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ, তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। সেখানেও স্লোগান দিতে দিতে যান শান্তনুরা।
পরে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শান্তনু সেনকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা যখন কৃষিভবনে গিয়েছিলাম, মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা না করে পালিয়ে যান। আমরা যখন শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করছিলাম, যে ভাবে আমাদের চ্যাংদোলা করে, টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল, আজ একই জিনিস হল। বিজেপি যে ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেছিলাম এই সংস্থাগুলির মাথাদের বদল করা হোক। পাশাপাশি মানবিক কারণে আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি-কোচবিহারে ঝড়বিধ্বস্তদের রাজ্য যাতে সাহায্য করতে পারে, সেই অনুমতি দিতেও আবেদন করেছিলাম। এর পর বেরিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন বসেছিলাম। দিল্লির পুলিশ আমাদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

পাল্টা শুভেন্দুর…
‘ও বেকার, আইন জানে না। …প্রচার পাবে বলে ফটোসেশন  করতে গিয়েছে। বাজার খুব খারাপ। মিটিংয়ে ৮০ শতাংশ চেয়ার ভরছে না… মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক ভোকাট্টা’, পাল্টা কটাক্ষ করেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নায় যা ঘটল, তাতে অনেকেরই পুরনো ঘটনা মনে পড়ে গিয়েছে। গত অক্টোবরে ধর্নায় গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিবাদে এ রাজ্যের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখা দেয়। কলকাতায় মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি দফতরের সামনে পতাকা হাতে স্লোগান দেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। কুলটিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ রাজ্যের শাসকদলের। হুগলির কোন্নগরেও পথে নামেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তুলকালাম পরিস্থিতি দিল্লির কৃষি ভবনের সামনে, বিক্ষোভ হয় রাজ্যেও।

(Feed Source: abplive.com)