সিঙ্গেল দাবি, সোলো ট্রিপ! দাদাগিরিতে পর্দা ফাঁস,ঘোরার ছবি কে তোলে, জানাল মধুমিতা

সিঙ্গেল দাবি, সোলো ট্রিপ! দাদাগিরিতে পর্দা ফাঁস,ঘোরার ছবি কে তোলে, জানাল মধুমিতা

খুব ছোটবয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মধুমিতা সরকার। প্রথম ধারাবাহিক ‘সবিনয় নিবেদন’-এর সেটেই আলাপ হয়েছিল সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে। এরপর প্রেম। বিয়ে করতেও আর দেরি করেননি তাঁরা। তবে বছরখানেকের ভিতরেই শেষমেষ বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন মধুমিতা সৌরভ।

তবে তারপর থেকে একাধিক নায়কের সঙ্গে নাম জড়ালেও, কোনওটাই ‘ঠিক’ নয়। মধুমিতা নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করেন। গত চার বছর ধরে নাকি সেখানে প্রেমের লেশমাত্র নেই। তবে সেলফ লাভে বিশ্বাসী তিনি। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। যার মধ্যে বেশিরভাগই আবার সোলো ট্রিপ। আর এবারে দাদাগিরিতে মধুমিতাকে সামনে পেয়ে সঞ্চালক সৌরভের প্রশ্ন, ‘তাহলে ছবিটা কে তোলে?’

দাদার সঙ্গে গল্প প্রসঙ্গে মধুমিতাকে বলতে শোনা গেল, ‘ফ্রেশনেস খুঁজতে পাহাড় যাই। আমার কংক্রিটের জঙ্গল একটু কম ভালো লাগে। সবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে, আমাদের নিজের সঙ্গে কথা বলা আর হয় না। যখন একা ঘুরতে যাই, তখন আমি ছাড়া আর প্রকৃতি ছাড়া আর কিছু থাকে না। এটা আমার কাছে মেডিটেশনের মতো অনেকটা।’

একথা শুনে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সৌরভ, ‘সোলো ট্রিপ হলে, ছবিগুলো কে তোলে?’ তাতে মধুমিতা বলেন, ‘সঙ্গে গাইড থাকে তো। নয়তো আমি হারিয়ে গেলে মাকে কে ফোন করবে?’

পাহাড়-প্রেমী মধুমিতা আরও বলেন, ‘আমার হিমালয় পছন্দ। সেটা অরুণাচল টু কাশ্মীর। আমি যখন পাহাড়ে যাই, পুরো গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে, সেখানেই থেকে যাই। পাশের জঙ্গল ঘুরে দেখি, ট্রেকে চলে যাই। কোনও গুহা পেলে যাই। আমি একটু আধ্যাত্মিক বলে আমার হিমালয়া খুব পছন্দ।’

এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কাছে নিজেকে সিঙ্গেল বলে দাবি করে মধুমিতা জানিয়েছিলেন, ‘গত চার বছর ধরে আমার আগে-পিছে তো কিছু নেই। যদি আমি প্রেমে পড়তাম তাহলে আমি খুব খুশি হয়ে সেটা ফ্লন্ট করতাম। লোকজন অনেক সময়ই প্রেমের কথা লুকিয়ে রাখে, আমি সেটায় বিশ্বাসী নই। যদি সত্যি আমার কাউকে পছন্দ হয় এবং আমি কারুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই তাহলে অবশ্যই সেটা আমি নিজের ভক্ত এবং শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।’

এরপর ‘ফেলুবক্সী’ ছবিতে দেখা যাবে মধুমিতা সরকারকে। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করবেন  সোহম ও পরীমনির সঙ্গে।

(Feed Source: hindustantimes.com)