সাধারণত কোনও কর্মচারী মারা গেলে, তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী। যদি না তাঁর অন্য কোনও নমিনি থেকে যায়। তবে তাঁর স্ত্রী এই পেনশন পেয়ে থাকেন। কিন্তু পেনশন পাওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। কী ভাবে এই পেনশন পাওয়া যাবে? দেখে নিন একনজরে।
যদি মৃত ব্যক্তির তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে।
- মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
- পরিবারের জন্য পেনশন শুরু করার অ্যাপ্লিকেশন।
- পেনশনভোগীদের জন্য PFO কপি।
- জন্মতারিখ এবং জন্ম সার্টিফিকেটের জেরক্স।
প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে পার্টনারকে ফর্ম 14 জমা দিতে হবে না
যদি মৃত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট না থাকে…
- এক্ষেত্রে ফর্ম 14 জমা দিতে হবে দুজন সাক্ষীর সই সমেত।
- যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
- PFO কপি দিতে জমা দিতে হবে পেনশনভোগীর।
- জন্ম সার্টিফিকেটের জেরক্স দিতে হবে, বয়সের প্রমাণ দেওয়ার জন্য।
তবে এক্ষেত্রে যিনি ফর্ম 14 জমা দিচ্ছেন, তাঁকে ওই ফর্ম 14 কোনও সরকারি অফিসারের সই সমেত জমা দিতে হবে না। কিন্তু যিনি জমা দিচ্ছেন, তিনি যে মৃত ব্যক্তিরই পারিবারিক সদস্য সেটার নির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে হবে। কী ভাবে দেবেন? তার জন্য PPP এর মাধ্যমে KYC করা হবে।
এতদিন পর্যন্ত আপনাকে পেনশন পেতে গেলে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলকভাবে তৈরি করতে হত। কিন্তু বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রাখা আর বাধ্যতামূলক নয়৷ তবে এ কথা সত্যি, এখনও পর্যন্ত জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রাখা অনেকটা বেশি সুবিধার।