বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু তার টাকা কিছুতেই ঢুকছিল না। একদিন-দুদিন না,টানা এক বছর ধরে টাকা না আসায় সন্দেহ হয় উপভোক্তাদের মনে। বিডিওর কাছে গিয়ে খোঁজ নিতেই বোঝা যায় গন্ডগোল রয়েছে। টাকা এলেও তা আসলে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। কোনও মহিলা নয়, পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। হুগলির খানাকুলে ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বুথ সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বিজেপি বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে খানাকুল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অশোক দাস ময়নার দক্ষিণ হরকুলি গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি। তাঁর ছেলে শ্রীকান্ত দাস, বেসরকারি সংস্থার অধীনে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ডেটা এন্ট্রি করার কাজ করেন। ২০২২ সালে খানাকুলে দুয়ারে সরকার ক্য়াম্পে ডেটা এন্ট্রির দায়িত্বে ছিল এই যুবক। অভিযোগ, ২০২২ সালে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের BDO-র কম্পিউটার হ্যাক করে শ্রীকান্ত তার পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেন। মহিলাদের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টের নম্বরের জায়গায় তাঁর বাবা-সহ ময়নার ১২ জনের অ্য়াকাউন্টের নম্বর দিয়ে দেন। এরপর সেই টাকা পৌঁছে যায় অশোক দাস সহ বাকিদের অ্য়াকাউন্টে।
প্রায় ১ বছর ধরে অ্য়াকাউন্টে টাকা না ঢোকায় সম্প্রতি সন্দেহ জাগে মহিলাদের মনে। BDO-র কাছে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন টাকা আসলেও তা যাচ্ছে অন্য়দের অ্য়াকাউন্টে। সোমবার থানায় অভিযোগ জানান খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের BDO। তার ভিত্তিতে বিজেপি বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে খানাকুল থানার পুলিশ। তবে এখনও মূল অভিযুক্তের সন্ধানে রয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে তোপ দেগেছে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলে এদিকে তারাই লুঠ করছে। তাঁর তোপ, ‘যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে তারাই গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছে, লজ্জাজনক।’
দলের লোকেদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস বলেন, ‘দেখতে হবে বিজেপি বলে ফাঁসানো হল না তো। বিডিওরা শাসকদলের হয়ে কাজ করে।’
(Feed Source: abplive.com)