শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম, হাতছানি দিয়ে ডাকছে বৃষ্টি ভেজা শিউলিবনা

শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম, হাতছানি দিয়ে ডাকছে বৃষ্টি ভেজা শিউলিবনা

শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে শিউলিবনা

শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে আদিবাসী গ্রাম শিউলিবনা। সবুজ পাহাড় বর্ষায় আরও সবুজ হয়ে ওঠে। বর্ষায় যেন প্রাণ ফিরে পায় লাল মাটির গ্রাম। পাহাড়ের খাঁজ বেেয় উঠে আসতে হবে অনেকটা। তবেই পৌঁছনো যাবে শিউলিবনিতে। পাশেই বয়ে চলেছে শালি নদী। চারিদিকে শাল-পিয়াল আর ইউক্যালিপটাসের জঙ্গল। শহুরে বর্ষা ঝক্কি এখানে নেই। বর্ষণ যতই আঝোরে হোক জল জমা কােক বলে জানেনা শিউলিবনা। বর্ষায় সবুজ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। শুশুনিয়া পাহাড়ের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায় এখানে।

কী আছে দেখার

পরিবেশের শোভা এখনে মুগ্ধ করবে সকলকে। তার মধ্যে এই শিউলবনাতে রয়েছে অনেক পুরাতাত্বিক নিদর্শন। পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা রয়েছে রাজা চন্দ্র বর্মনের প্রাচীন শিলালিপি। কােছই আছে ভরতপুরের পটশিল্পীদের গ্রাম। সেখানে প্রতিদিন শিল্পীরা তাঁদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় গড়ে তুলছে রামায়ন মহাভারতের কাহিনী আঁকা সব পটচিত্র। তার সঙ্গে দেখা যাবে পাথর শিল্পীদের। তাঁরা নিপুন কৌশলে পাথর খোদাই করে তৈরি করছে দুর্গামূর্তি, গণেশ। চাইলে এদের কাছ থেকে পাথরের বাসনও কিনে নিতে পারেন। রয়েছে শািল নদীর জলাধার যাতে গাংদুয়ার বলা হয়। এখানে সূর্যাস্ত মনোরম।

কীভাবে যাবেন

কীভাবে যাবেন

কলকাতা থেকে শিউলিবনার দূরত্ব বেশ খানিকটা। বাসে বা ট্রেনে প্রথমে বাঁকুড়ার ছাতনায় আসতে হবে। সেখান থেকে শিউলিবনার দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। আর ট্রেনে বাঁকুড়া অথবা রানিগঞ্জ স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে শিউলিবনা। গাড়িতে খরচ পড়বে ১,১০০ থেকে ১৪০০ টাকা। হাওড়া স্টেশন থেকে অনেক ট্রন রয়েছে বাঁকুড়া আসার।

কোথায় থাকবেন

কোথায় থাকবেন

পর্যটন মানচিত্রে ধীরে ধীরে নাম করে ফেলেছে শিউলিবনা। এখানে থাকার জায়গার অভাব হবে না। রয়েেছ কটেজের মত থাকার জায়গা। কটেজে থাকতে টাকা একটু বেশি লাগবে। এছাড়াএ পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের ইকো ট্যুরিজিম সেন্টার রিসর্ট রয়েছে। সেখানে খরচ একটু কম। সেটা অবশ্য একেবারে শিউলিবনাতে নয় ছাতনা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সেই রিসর্ট। অনলাইনে বুকিংয়ের সব সুযোগ রয়েছে সেখানে।

(Source: oneindia.com)