জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম। এরকম ঘটনা নতুন কিছু না। কিন্তু তার জেরেই অফিস থেকে বহিষ্কার করা হয় এক কর্মচারীকে। কিন্তু কেন? ঘটনাটি ঘটে কানাডায়।
কানাডার বৃহত্তম ব্যাংক রয়্যাল ব্যাংক। সেই ব্যাংকের চিফ ফিনানসিয়াল অফিসার নাদিন আহন। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ব্যাংকের অভিযোগ যে তিনি সংস্থার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই নাদিনের বিরুদ্ধে ‘অসদাচারণে’র অভিযোগ এনে তাঁকে ছাঁটাই করেছে ব্যাংক।
নাদিন ১৯৯৯ সালে রয়্যাল ব্যাংকে যোগদান করেন। এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে সিএফও-এর পদে নিযুক্ত করা হয়। এবছরের ৫ এপ্রিল ব্যাংক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে, ‘ব্যাংক নাদিন বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে তিনি তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে ‘আনডিসক্লোজড রিলেশনশিপে’ ছিলেন। যেটা ব্যাংকের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে। যার ফলে পদোন্নতি এবং ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি সহ কর্মচারীর সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক আচরণ করা হয়েছে।’
কী এই ব্যাংকের আচরণবিধি?
আচরণবিধি হল- ‘যখন আমরা কোনও উচ্চ নৈতিক মানদণ্ডে অধিষ্ঠিত, এবং পরিচালক হিসাবে কাজ করি, যেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ। তখন সেই ক্ষেত্রে সম্মানিত এবং স্বচ্ছ হওয়া খুবই জরুরি। এবং সমস্ত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ন্যায্য থাকা প্রয়োজন।’
ব্যাংক জানিয়েছে যে আর্থিক অসঙ্গতির অনুপস্থিতি থাকলেও, ব্যাংক তাঁদের আচরণকে তার আচরণবিধির লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করেছে। এই সম্পর্কের সুবিধা উঠিয়ে তাঁরা কোনও আর্থিক সুবিধা বা ব্যাঙ্কের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা প্রভাবিত হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হয়। তবে তদন্তে নাদিন আহন এবং সেই কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের তরফ থেকে এ-ও জানানো হয়েছে যে উভয় কর্মচারীকেই বরখাস্ত করা হয়েছে।
অফিসের সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কোনও অপরাধমূলক কাজ নয়। তবে যদি সেই ব্যক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ জায়গায় নিযুক্ত থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সংস্থা জানাতে হবে। এই নিয়ম বেশিরভাগ নামী সংস্থাতেই আছে।
প্রসঙ্গত, নাদিন আহনের পরিবর্তে ব্যাংক ক্যাথরিন গিবসনকে নিযুক্ত করেছে। যিনি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিনান্স এবং কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেছেন। ব্যাঙ্কিং সেক্টরে দুই দশকেরও বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
(Feed Source: zeenews.com)