Whooping Cough: অতি সাধারণ হুপিং কাশির এমন মারণক্ষমতা কীভাবে হল? কী করে এর হাত থেকে বাঁচবে মানুষ?

Whooping Cough: অতি সাধারণ হুপিং কাশির এমন মারণক্ষমতা কীভাবে হল? কী করে এর হাত থেকে বাঁচবে মানুষ?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হুপিং কাফ! বহুদিন ধরে শুনে আসছি আমরা। সাহিত্যে সিনেমায় নানা রেফারেন্স রয়েছে এর। শুনতে কাশি হলেও, ভয়ংকর সংক্রামক এটি! রেসপিরেটরি সিস্টেমের উপরের অংশকে মূলত আক্রমণ করে। ‘ব্যাকটেরিয়াম বরডেতেল্লা’ নামক এক ব্যাকটেরিয়া এজন্য দায়ী! সামান্য কাশি। কিন্তু ভয়ংকর তার মারণক্ষমতা। বহুদিন পরে এই আপাত সাধারণ অসুখটি রীতিমতো মারণক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বিরাট হয়ে দেখা দিচ্ছে। ফলে, বিশ্ব জুড়ে রোগটিকে নিয়ে নতুন করে সচেতনতা তৈরি হয়েছে।

কেন সহসা হুপিং কাশি নিয়ে এত গেল গেল রব? 

কারণ, চিনে সম্প্রতি এই কাশি থেকে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আর তার পরই নড়েচড়ে বসেছে সারা বিশ্ব। এ-ও জানা গিয়েছে, এতে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। এই ব্যাকটেরিয়াকে প্রথম দিকে শনাক্ত করা বেশ কঠিন, এদিকে ততক্ষণে এর মারণক্ষমতা কাবু করে ফেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে। চিনে চলতি বছরের প্রথম দুমাসে হুপিং কাশিতে আক্রান্তের মোট কেস-সংখ্যা প্রায় সাড়ে বত্রিশ হাজার। এক বছর আগেও চিনে এই রোগে আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, চলতি সংখ্যাটা তার চেয়ে ২০ গুণ বেশি। ফিলিপাইন্সেও হুপিং কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা ওপরের দিকে। সেখানেও এই রোগে গত বছর যতজন আক্রান্ত হয়েছিলেন সংখ্যাটা তার চেয়ে ৩৪ গুণ বেশি! সেখানে চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে ৫৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে!

হুপিং কাফের কি ভ্যাকসিন আছে? 

চিনে একটা কম্বাইনড শট মেলে। তাতে ডিপথেরিয়া ও টিটেনাসের সঙ্গে হুপিং কাশির প্রতিষেধকও থাকে। আমেরিকা ও ব্রিটেনেও রয়েছে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা। ফিলিপাইন্সেও এই টিকার ব্যবস্থা চলছে।

হুপিং কাশির চিকিৎসা কীভাবে হয়? 

এমনিতে হুপিং কাশির যে চিকিৎসা করা হয় তাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ঠান্ডা লাগা ও তার সমস্ত লক্ষণই হুপিং কাফে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। হালকা জ্বর থাকতে পারে।

(Feed Source: zeenews.com)