নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার অয়ন শীলকে হেফাজতে চায় সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার অয়ন শীলকে হেফাজতে চায় সিবিআই

পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় এবার অয়ন শীলকে হেফাজতে চায় সিবিআই (CBI Wants Ayan Sil In Custody )। আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ‘নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অয়ন শীলকে নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে’, অয়ন শীলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন সিবিআইয়ের। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অয়ন শীলকে আগামীকাল আদালতে পেশ করা হবে।

প্রেক্ষাপট…
গত মার্চ মাসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ট বলে পরিচিত, পেশায় প্রোমোটার অয়ন শীল গ্রেফতার হয়। ইডি জানিয়েছিল, তাকে জেরা করে ৪-৫ জন প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। মেলে টাকার  লেনদেনের প্রমাণও। ধীরে ধীরে জানা যায়, অয়ন শীল ও তাঁর আত্মীয়দের নামে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নামে বেনামে অয়নের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। নিজের কর্মচারীদের নামেও বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন অয়ন, দাবি ইডি সূত্রে। কোথা থেকে এল এত টাকা? কাদের কাদের অ্য়াকাউন্টে লেনদেন? খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে। টাকা দিতে না পারায় যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চুরি করেছেন অয়ন শীল, এমনও অভিযোগ শোনা যায়। টাকা না দেওয়ায় প্যানেল থেকে নাম বাদ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ শোনা যায়। এমনই অভিযোগকারিণী ছিলেন চয়নিকা আঢ্য। তিনি চুঁচুড়ার বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ২০১৯-এ পরীক্ষা দিয়ে প্লেয়ার্স কোটায় চাকরি পান টিটাগড় পুরসভায়। গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে ৬ দিন কাজ করানোর পর, গোটা প্যানেলটাই বদলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী জানান, এসবের নেপথ্য ছিলেন অয়ন শীল। দাবি মতো তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়াতেই তিনি চাকরি খুইয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন গ্রেফতার হওয়ায় এবার সরব হন অভিযোগকারিণী। যদিও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান।

বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের…
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে সিবিআই যা দাবি করে, তা শুনে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমেই ১৭টি পুরসভায় ১৮০০-র বেশি চাকরি হয়েছিল, এমনই শোনা যায় সে সময়। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে সামনে রেখেই অবাধে দুর্নীতি হয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি সিন্হার কাছে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়েছিল তারা। প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট দেয় ইডি-ও। সব মিলিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। সেই অয়ন শীলকেই হেফাজতে চায় সিবিআই।

(Feed Source: abplive.com)