#নয়াদিল্লি: প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির ‘হর্স ট্রেডিং’-এর অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে রাজ্যসভার ১৬ আসনে ভোট শুক্রবার। সেই ভোট ঘিরে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে তৎপরতা তুঙ্গে। মোট ৫৭টি আসন শূন্য ছিল। তার মধ্যে ৪১টি আসনে বিভিন্ন দলের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন। ফলে ভোট হবে বাকি ১৬টি আসনে। রাজস্থান, কর্ণাটক, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের চারটি রাজ্যের ১৬টি রাজ্যসভার আসনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে এবং পুরো ভোটের ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছে। এবারের রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রিকেটের মতো রোমাঞ্চ দেখা যাচ্ছে কারণ সব দলের সামনেই তাদের বিধায়কের ভোট রক্ষা এবারে বড় চ্যালেঞ্জ (Rajya Sabha Election 2022)।
কংগ্রেসের আশঙ্কা, বিজেপি ইতিমধ্যেই দল ভাঙাভাঙির খেলায় নেমে গিয়েছে। তাই হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কংগ্রেস শাসিত ছত্তীশগড়ের রায়পুরে। সেখানকার এক হোটেলে কংগ্রেস বিধায়কদের রাখা হয়েছে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র সিং হুডা বুধবার রায়পুরে গিয়ে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। তাঁর দাবি, কংগ্রেস বিধায়করা ঐক্যবদ্ধ আছেন। তবু বিজেপি টাকার বিনিময়ে বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে (Rajya Sabha Election 2022)।
রাজস্থানেও দল ভাঙার আতঙ্কে ভুগছে কংগ্রেস। রাজস্থানে কংগ্রেসের তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। বিজেপি যদি বিধায়ক ভাঙাতে পারে, তবে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীর মধ্যে একজনের হেরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজস্থানে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে বিজেপি বিশিষ্ট উদ্যোগপতি এবং একটি বেসরকারি চ্যানেলের কর্ণধার সুভাষচন্দ্রকে সমর্থন করছে। বিজেপির নেতারা এবং সুভাষচন্দ্র তলে তলে রাজস্থানের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। সচিন অবশ্য দাবি করেন, রাজস্থানে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীই জিতবেন।
রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক এবং সমর্থনকারী নির্দল বিধায়করা বৃহস্পতিবার উদয়পুর থেকে জয়পুরে পৌঁছন, যেখানে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে আশঙ্কার মধ্যে তাদের একটি রিসর্টে রাখা হয়েছে। জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরে, বিধায়কদের একটি বাসে করে জয়পুর-নয়াদিল্লি হাইওয়ের পাশে লীলা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সেখান থেকে সরাসরি রাজ্য বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে তাঁদের। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বিজেপিকে ঘোড়া কেনাবেচার প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং তাদের বিধায়কদের ২ জুন উদয়পুরের বিলাসবহুল তাজ আরাবলি রিসর্ট এবং স্পা-এ স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়করা অভিযোগ করছেন যে কংগ্রেস তাদের বিধায়ক দলকে একত্রে রাখার জন্য আপস করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক গেহলট বলেন, “তারা এতটাই ভয় পেয়েছে যে তারা নির্বাচন কমিশন এবং ইডিতে গিয়েছে। ইডি-তে যাওয়ার যুক্তি কী? ” কংগ্রেসের দ্বারা চোরাচালানের চেষ্টার অভিযোগে উভয় সংস্থার কাছে বিজেপির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে গেহলট এই কথা বলেন। অশোক গেহলটও সিপিআই(এম) বিধায়ক বলওয়ান পুনিয়ার সঙ্গে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে একটি হাসপাতালে দেখা করেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। কংগ্রেস নির্বাচনের জন্য মুকুল ওয়াসনিক, প্রমোদ তিওয়ারি এবং রণদীপ সুরজেওয়ালাকে প্রার্থী করেছে। অন্যদিকে বিজেপি তার আনুষ্ঠানিক প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনশ্যাম তিওয়ারিকে বেছে নিয়েছে, যিনি আগে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের খোলামেলা সমালোচক ছিলেন।
(Source: news18.com)