বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ, রাজ্য় পুলিশের প্রশংসা NIA-এর

বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ, রাজ্য় পুলিশের প্রশংসা NIA-এর

কলকাতা: দিঘা হোটেল থেকে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে NIA. তার আগে কলকাতার চার চারটে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল দু-জন। NIA-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে ৩দিনের ট্রানজিট রিমান্ড নির্দেশ দেয় NIA-এর বিশেষ আদালত। প্রেস রিলিজে রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেছে NIA।

বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলা থেকে মাস্টারমাইন্ড-সহ দুই সন্দেহভাজন IS জঙ্গিকে গ্রেফতার করল NIA। এদিন ভোরে যৌথ অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও রাজ্য পুলিশ। NIA-এ প্রেস রিলিজে জানিয়েছে, ১২ এপ্রিল ভোরবেলা NIA সাফল্যের সঙ্গে কলকাতার কাছ থেকে পলাতক অভিযুক্তদের ধরতে সক্ষম হয়েছে। তারা নাম ভাঁড়িয়ে লুকিয়েছিল। NIA সাফল্যের সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, কর্ণাটক, কেরল পুলিশ NIA-কে সাহায্য করেছে।

ধৃতরা আশ্রয় নিয়েছিল একেবারে কলকাতার বুকে প্রথমে ধর্মতলা,তারপর লেনিন সরণি, সেখান থেকে খিদিরপুর তারপর একবালপুর এবং সেখান থেকে নিউ দিঘার হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল জঙ্গিরা। NIA-এর সূত্র ও হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী,  ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর কাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর, ১২ মার্চ, দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি ধর্মতলার একটি হোটেলে উঠেছিল। ১৩ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত, লেনিন সরণির হোটেল প্যারাডাইসে উঠেছিল ধৃতরা। জাল আধার কার্ড দেখিয়ে, এখানে তারা পর্যটক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল বলে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি। ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত, আবার খিদিরপুরের একটি হোটেলে উঠেছিল সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধৃত মুসাভিরের ছবিও ধরা পড়েছে। যেখানে একটি অটো থেকে নামতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর ২৫ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তারা ছিল একবালপুরের আরও একটি হোটেলে। সেখানেও CCTV ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সন্দেহভাজনদের ছবি। শুধু কলকাতা নয়, ১৮৫ কিলোমিটার দূরে নিউ দিঘার, আয়ূষ ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে,১০ এপ্রিল উঠেছিল ধৃত দু’জন। শুক্রবার ভোরে সেখান থেকেই নাটকীয়ভাবে মুসাভির ও আব্দুলকে গ্রেফতার করে NIA.

(Feed Source: abplive.com)