দশম-দ্বাদশের পরীক্ষায় একই নম্বর পেল যমজ দুই বোন! ফলাফল দেখে সকলে হতবাক

দশম-দ্বাদশের পরীক্ষায় একই নম্বর পেল যমজ দুই বোন! ফলাফল দেখে সকলে হতবাক

রেজাল্ট বেরিয়েছে বুধবার। খাতায় জমেছে একই নম্বর। ৬০০-এর মধ্যে ৫৭১। কর্ণাটকের হাসানের দুই যমজ বোনের পরীক্ষার খাতা দেখে হতবাক সকলেই। চুক্কি এবং ইব্বানী চন্দ্র কেভি, কর্ণাটকের দুই যমজ বোন, মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে জন্ম হয়েছিল তাঁদের, জন্ম থেকেই যে সংযোগ ছিল তা পরীক্ষার ফলাফলেও ফুটে উঠেছে। কারণ, ভাগ্য তাদের পরীক্ষার ফলাফলেও একটি আশ্চর্যজনক সংযোগ দেখিয়েছে। দুই বোনই তাদের দ্বাদশ শ্রেণীর মেগা পরীক্ষায় ঠিক একই নম্বর পেয়েছে।

এরপরেই আসে গল্পের ট্যুইস্ট। কারণ এই প্রথম নয়। দুই বছর আগে, দশম শ্রেণীর পরীক্ষায়ও একই কাণ্ড ঘটেছিল। দ্বাদশের এসএসএলসি পরীক্ষায় ৬২৫ এর মধ্যে ৬২০ পেয়েছিল দুই বোনই। এক নম্বরেরও হেরফের হয়নি। কীভাবে সম্ভব! এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চুক্কি জানিয়েছে, এটা কাকতালীয়। আমরা জানি না কীভাবে আমরা একই নম্বর পেয়েছি। আমরা দুজনেই ৯৭ শতাংশের বেশি নম্বর আশা করেছিলাম, আমরা যা পেয়েছি তার চেয়ে তা যদিও একটু বেশি। তবে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হল আমরা দুজনেই একই শতাংশ নম্বর পেয়েছি।

চুক্কি এবং ইব্বানীর বাবা বিনোদ চন্দ্র নিজেও এই কাকতালীয় ঘটনায় বেশ অবাক হয়েছিলেন, কিন্তু মেয়েদের দুর্দান্ত ফলাফলের জন্য তিনি অত্যন্ত গর্বিত বোধও করছেন। এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিনোদ চন্দ্র নিজেই অবাক হয়ে বলে ফেলেছিলেন যে কীভাবে দুই বোনের চূড়ান্ত নম্বর একই হতে পারে। যদিও মোট নম্বর এক হলেও বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নম্বর আলাদা আলাদাই ছিল। দুই মেয়ের বাবা জানিয়েছেন, ইব্বানী দিদির চেয়ে ভাষা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছিল, আবার বিজ্ঞানের বিষয়েও এক থেকে দুই নম্বরের পার্থক্য ছিল। খুশি মনে তাদের বাবা আরও বলেছেন, মেয়েরা পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা এক সঙ্গেই সব কাজ করে, একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করে, পড়াশোনায়ও ভালো কিন্তু তারা কখনওই বইয়ের পোকা নয়।

  • পরবর্তীতে কোন বিষয় নিয়ে এগোবে দুই বোন

চুক্কি জানিয়েছে যে সে আর তার ছোট বোন ইব্বানী এখন নিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুই বোনই পরবর্তীতে মেডিসিন বা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। গান, নাচ ও খেলাধুলায় দুই বোনেরই সমান আগ্রহ। সবথেকে বড় বিষয় হল, দুই বোনকে একই রকম দেখতে। বুদ্ধি, প্রতিভা, ইচ্ছাও এক। তাহলে নিশ্চয়ই তাঁরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। কারণ এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টিকে সম্পূর্ণ নাকচ করে ইব্বানী জানিয়েছেন, যদি আমার দিদি আমার চেয়ে বেশি নম্বর পায় তবে আমি সবচেয়ে খুশি হব, এবং সেও যদি বেশি পায়, তাহলে দিদি খুশি হবে। তাই তারা একেবারেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্বাসী নয়।

(Feed Source: hindustantimes.com)