জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শারদীয় নবরাত্রি ও চৈত্র নবরাত্রি — এই দুই নবরাত্রি নিয়ে সারা দেশে তৈরি হয় উৎসবের আবহ। মেতে ওঠেন ভক্তেরা। এ বছরের মতো শারদীয় নবরাত্রি চলে গিয়েছে। এবার পালা চৈত্র নবরাত্রির। এটি আমরা চিহ্নিত করি মা বাসন্তী ও মা অন্নপূর্ণার পুজো দিয়ে। এবার এসে গেল সেই চৈত্র নবরাত্রির লগ্ন।
এই চৈত্র নবরাত্রিতে মা দুর্গার নয়টি রূপের পুজো করা হয়। সেই রূপগুলি হল যথাক্রমে মা শৈলপুত্রী, মা ব্রহ্মচারিণী, মা চন্দ্রঘণ্টা, মা কুষ্মাণ্ডা, মা স্কন্দমাতা, মা কাত্যায়নী, মা কালরাত্রি, মা মহাগৌরী এবং মা সিদ্ধিদাত্রী। নয় দিনে মা দুর্গার এই নয়টি অবতারের পুজো করা বিধি এ সময়ে। চৈত্র নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং আজ তার পঞ্চম দিন। আজ মা স্কন্দমাতাকে পুজো করা বিধি।
এ বছর নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে গত ৯ এপ্রিল থেকে। চলবে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। আজ, ১৩ এপ্রিল নবরাত্রির পঞ্চম দিন।
কেমন এই মা স্কন্দমাতা?
মা দুর্গার পঞ্চম অবতার। তাঁর চারটি হাত। নীচের দিকে ডান হাত দিয়ে তাঁর কোলেতে তাঁর ছেলে কার্তিকেয়কে জড়িয়ে রেখেছেন। তাঁর নীচের বাঁ হাতে পদ্ম। আরর তাঁর উপরের এক হাতে অভয়মুদ্রা, অন্য হাতে আর একটি পদ্ম।
কী ভাবে মা স্কন্দমাতার পুজো করতে হয়?
সকালে উঠে হলুদ কাপড় পরে মায়ের পুজো শুরু করতে হয়। তাঁকে লাল ফুল দিয়ে পুজো করা বিধি। সঙ্গে অক্ষত– চাল দিতে হয়, এছাড়া তো চন্দন ফল-ফুল, পান-লবঙ্গ-দারচিনি দিতে হয়। সঙ্গে ধূপ ও দীপ। আরতি করতে হয়, সঙ্গে শঙ্খধ্বনি।
কী পুণ্য লাভ হয় মা স্কন্দমাতার পুজো করলে?
পুজোয় মাকে সন্তুষ্ট করলে তিনি ভক্তের সব বাধা দূর করে দেন। ভক্তের সমস্ত চেষ্টাকে ফলপ্রসূ করেন। এবং তাঁর সর্বাঙ্গীন উন্নতিবিধান করেন, তাঁর পরবর্তী প্রজন্মকে, তাঁর সন্তানকেও আশীর্বাদে ভরিয়ে দেন।
(Feed Source: zeenews.com)