পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা, ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বের দিকে নজর রাখছে দিল্লি

পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা, ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বের দিকে নজর রাখছে দিল্লি

নয়াদিল্লি : ইরান ও ইজরায়েলের (Iran Israel Conflict) মধ্যে যুদ্ধ-পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত। কারণ, উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের যদি আরও অবনতি হয় বা একে অপরকে লক্ষ্য করে পুনরায় হামলা চালাতে থাকে বা তার থেকেও খারাপ পরিণতির দিকে এগোয় পরিস্থিতি, তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে। বর্তমান পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টকে ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম ব্যারেল প্রতি ৯০ ডলারে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে অপরিশোধিত তেলের দাম (Crude Oil Price) বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় অপরিশোধিত তেলের ৮০ শতাংশই আমদানি করে ভারত । এই তেল আমদানি করতে যদি আরও মোটা বিল মেটাতে হয় তাহলে তার সার্বিক প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে। তেলের দাম বাড়লে তার কোপ পড়বে দেশের বৃদ্ধিতেও। অর্থনীতিতে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতির চাপ। বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি সাঁড়াশি চাপ সৃষ্টি করবে রুপির উপর। রাশিয়া থেকে অশোধিত তেলের সস্তায় আমদানি ভারতের আর্থিক পরিস্থিতির-সহায়ক ছিল। তা সত্ত্বেও, ভারতে আমদানিকৃত তেলের অধিকাংশটাই আসে পশ্চিম এশিয়া থেকে। ২০২৩ সালে যে পরিমাণ ছিল ৪৪ শতাংশ। এই আবহে যুদ্ধ বাঁধলে ভারত অপরিশোধিত তেলের সরবরাহে সমস্যা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর WTI অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে হয় ব্যারেল প্রতি ১৩৩ ডলার। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ছাড়িয়ে যায় ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলার। ২০০৮ সালের পরে তখনই এই পরিমাণ দাম বাড়ে তেলের। তার পর থেকেই বিশ্ব অর্থনীতির মন্থর গতির কারণে দ্রুত পড়তে থাকে তেলের দাম। তবে, আগের যুদ্ধ পরিস্থিতির থেকেও তা অনেক বেশি।

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই নয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। ইজরায়েলে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ায়র দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালায় ইজরায়েল, তারই পাল্টা হিসেবে ইজরায়েলে হামলা বলে জানিয়েছে ইরান। দেশের সামরিক বাহিনীর বিশেষ শাখা Islamic Revolutionary Guard Corps (IRGC) এই হামলা চালিয়েছে, যার প্রতিষ্ঠাতা দেশের সর্বোচ্চ শাসক আয়াতোল্লা খোমেনি। (Israel Iran War)

(Feed Source: abplive.com)