জোরা হাতির দাঁত রাখার মামলায় আদালতে হাজিরার নির্দেশ দক্ষিণী অভিনেতা মোহনলালকে

জোরা হাতির দাঁত রাখার মামলায় আদালতে হাজিরার নির্দেশ দক্ষিণী অভিনেতা মোহনলালকে

News

lekhaka-Dipanwita bandopadhyay

বন্যপ্রাণী শিকার করা কিংবা কোনও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর দেহের অংশ বা চামড়া নিয়ে বাড়িতে সাজিয়ে রাখার প্রথা বহুদিন ধরেই ছিল। কিন্তু বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন পাশ হওয়ার পর এই প্রথাকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই আইন লঙ্ঘন করে যদি কেউ বন্যপ্রাণের ক্ষতি করতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়।

কিন্তু এতসবকিছুর পরেও ভারতের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি বা তারকারা বার বার জড়িয়েছেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন না মানার বিতর্কে। সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের ভাইজান সলমন খান, সোনালী বেন্দ্রে থেকে আরও অনেক তারকার নাম। আর সেই নামের তালিকাতেই রয়েছে দক্ষিণ ভারতের তারকা মোহনলালের নামও। একটি নয়, দুই জোড়া হাতির দাঁতের অবৈধ দখলের জন্য অভিনেতা মোহনলালকে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা বন্যপ্রাণী অপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার ট্রায়াল কোর্ট তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন কার্যক্রম প্রত্যাহারের রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আর জারফলে এবার সরাসরি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ভাঙার অভিযোগে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিনেতাকে। পেরুমবভুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাজ্য সরকারের করা অভিনেতা মোহনলালকে অবৈধভাবে হাতির দাঁত রাখার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে। বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত অভিনেতার সরাসরি এরকমটাই মন্তব্য আদালতের।

বন ও বন্যপ্রাণী আইনের অধীনে হাতির দাঁতের অবৈধ দখল একটি অপরাধ হিসেবেই গণ্য হয়। আর সেই কারণেই এই অনুমতি প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়। অভিনেতা মোহনলালকে হাতির দাঁত রাখার অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে এলুরের বাসিন্দা এএ পল এবং রান্নির প্রাক্তন বন কর্মকর্তা জেমস ম্যাথিউর দায়ের করা পিটিশনের বিশদ যুক্তি শোনার পরে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অপরদিকে কেরলের স্বরাষ্ট্র দফতর কালেক্টরের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে অভিনেতা মোহনলালের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে পেরুমবভুর মেকাপাল ফরেস্ট স্টেশনে নথিভুক্ত মামলার প্রথম অভিযুক্ত অভিনেতা মোহনলাল। বন ও বন্যপ্রাণী আইনের অধীনে হাতির দাঁতের অবৈধ দখল একটি অপরাধ হিসেবেই গণ্য হয় যা ন্যূনতম পাঁচ বছরের শাস্তিযোগ্য। মূলত জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখেই অভিনেতাকে বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত।

(Source: oneindia.com)