বুধবার কমপক্ষে তিনটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উত্তর ইউক্রেনের চেরনিহিভ শহরে একটি আটতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত হানে, কমপক্ষে 14 জন নিহত এবং 61 জন আহত হয়। সর্বশেষ বোমা হামলাটি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আসে যখন ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামরিক সহায়তার অভাবের কারণে বিকল্পের বাইরে চলে যাচ্ছে। চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ওলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, বুধবার সকালে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শহরের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে।

রাশিয়া বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত অব্যাহত রেখেছে, কারণ চেরনিহিভের এই হামলা আবারও নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে 150 কিলোমিটার উত্তরে চেরনিহিভ অবস্থিত ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লিমেনকো বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি হাসপাতাল, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কয়েক ডজন ব্যক্তিগত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ চাউসের একটি মন্তব্য অনুসারে, রাশিয়া তিনটি ইস্কান্দার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে। রাশিয়া কিয়েভের বিদ্যুৎ খাত এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ইউক্রেনের শহরগুলিতে আক্রমণ বাড়িয়েছে বলে এটি আসে।

যেহেতু রাশিয়া বিমান প্রতিরক্ষার জন্য ক্ষুধার্ত ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য আবেদন বাড়িয়েছে এবং বলেছে যে ধ্বংসাত্মক এড়ানো যেত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর মিত্রদের কাছ থেকে সংকল্প ও সমর্থনের আহ্বান জানান।