জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিশুস্বাস্থ্য কি নিরাপদ নয়? শিশুদের যে-ফুড সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো হচ্ছে, সেটাও কি নিরাপদ নয়? কী করবেন বাবা-মায়েরা? রাতারাতি নতুন কোন ধরনের হেল্থ ড্রিংকের উপর নির্ভরশীল হবেন তাঁরা? কেন এই সব প্রশ্ন উঠছে? কারণ, এক বিখ্যাত ব্র্যান্ডের বেবি ফুড আর শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়, উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
কোন ব্র্যান্ড? অভিযোগ, ‘নেসলে’র সব থেকে বেশি বিক্রি হওয়া দুটি বেবি ফুডে নাকি থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি। এদের বিদেশের বেবিফুডগুলিতে চিনি মেশানো না থাকলেও, জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি চামচ বেবি ফুডে থাকে ৩ গ্রাম করে চিনি! যা শিশুদের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। ফলে, এই তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসছে সব পক্ষ।
‘পাবলিক আই’ নামক একটি সংস্থার তদন্তে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা অমান্য করে নেসলে ভারতে বিক্রি হওয়া বেবি ফুডে চিনি ও মধু মেশায়। ব্রিটেন, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ডের মতো দেশে নেসলের বেবি ফুড অবশ্য চিনি ছাড়াই। তবে ভারতে বিক্রি হওয়া একই কোম্পানির বেবি ফুডে থাকে অতিরিক্ত চিনি ও মধু! এবং শুধু ভারতে নয়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশেই অতিরিক্ত চিনি মিশিয়ে বিক্রি করা হয় বেবিফুড। আরও জানা গিয়েছে, ইথিওপিয়া ও থাইল্য়ান্ডে বিক্রি হওয়া নেসলের ওই বেবি ফুডে চিনির পরিমাণ থাকে আরও বেশি। সেখানে প্রতি চামচেই প্রায় ৬ গ্রাম করে চিনি থাকে, ভারতের প্রায় দ্বিগুণ!
কেন এই অতিরিক্ত চিনি নিয়ে এত উদ্বেগ? আসলে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি ও মধু মেশানো থাকায় শিশুরা এই খাবার খেয়ে ওবেসিটি ও অন্যান্য অসুখের শিকার হয়ে পড়ছে ছোট থেকেই। আর বড় হওয়ার পরেও তাদের আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়– মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।
যে কোনও পণ্যের প্য়াকেজিংয়েই সেই পণ্যটিতে যে-যে উপাদান থাকে সেই সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া থাকে, তাকে পণ্য সংক্রান্ত লিটারেচার বলে। তবে এক্ষেত্রে সেখানেও সংশ্লিষ্ট ফুডটিতে কত পরিমাণ চিনি মেশানো থাকে, তার উল্লেখ থাকে না বলে অভিযোগ। কেন এমন হল? তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বোর্নভিটা নিয়েও এ-জাতীয় একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এবং বেবিফুডগুলি নিয়ে বারবার এরকম হচ্ছে দেখে, দেশের সাধারণ মানুষ একটু বিপন্নই বোধ করছেন। কেননা, শিশুদের সাপ্লিমেন্ট ফুডের ক্ষেত্রে এই ব্র্যান্ডগুলির উপর ভারতের বাবা-মায়েরা যথেষ্ট নির্ভরশীল।
(Feed Source: zeenews.com)