মামলা করতেই বাড়ল নম্বর, মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় উঠল নাম, এতদিন কী করছিল পর্ষদ?

মামলা করতেই বাড়ল নম্বর, মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় উঠল নাম, এতদিন কী করছিল পর্ষদ?

মামলা করে চাকরি পাওয়ার একাধিক নজির এই বাংলায় রয়েছে। তবে এবার মামলা করে নম্বর বাড়ল এক মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর। আর শুধু যে নম্বর বেড়েছে তেমনটাই নয়। তিনি মেধা তালিকাতেও চলে গিয়েছেন। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সন্দেহ ছিল তাঁর। এরপর তিনি রিভিউ করান। তিনি স্ক্রুটিনিও করান। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। তবে তিনি এবার মামলা করতেই তার নম্বর ৯ বেড়ে গেল। এর জেরে তিনি এবার মাধ্যমিকের মেধা তালিকায়। তন্ময় পতি নামে ওই ছাত্রের নম্বর অবশেষে বেড়েছে। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে এই ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ মাধ্যমিক হল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায়। সেই পরীক্ষায় কীভাবে মধ্য়শিক্ষা পর্ষদ এত উদাসীন মনোভাব পোষণ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। নরেন্দ্রপুর সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র। ইতিহাস, বাংলা, অঙ্কতে তিনি উপযুক্ত নম্বর পাননি বলে খবর। তন্ময়ের পরিবার ওই তিন বিষয়ের নম্বরে পূণর্মূল্যায়ণের জন্য় আবেদন করেছিলেন। এরপর পর্ষদ ইতিহাসে ৫ নম্বর বাড়িয়ে দেয়। এরপর উত্তরের প্রতিলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। সেখানে দেখা যায় যে বাংলায় অন্তত সাড়ে ৬ নম্বর তাকে দেওয়া হয়নি। এমনকী অঙ্কেও তার ২ নম্বর বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা তাকে দেওয়া হয়নি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। কারণ পর্ষদকে বার বার বলেও কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে  স্বস্তি পেল তন্ময়। স্বস্তি পেলে তন্ময়ের পরিবার। কার্যত মামলার মাধ্যমে এল জয়।

তন্ময় এর আগে পেয়েছিল ৬৭৭। তার নম্বর সাড়ে আট নম্বর বেড়ে যাওয়ার জেরে তার এখন নম্বর বেড়ে দাঁড়াল ৬৮৫.৫। এর জেরে তিনি বর্তমানে মেধা তালিকায় স্থান পাবেন। গত বছরে দশম স্থানে যিনি ছিলেন তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮৪। তবে এবার তন্মও চলে গেলেন মাধ্যমিকের মেধা তালিকায়।

কিন্তু আফসোস একটা থেকেই গিয়েছে। এত সব কিছুর পরে হয়তো খুশি হয়েছেন তন্ময়। কিন্তু যে সময় রেজাল্ট বের হয়, সেই সময় তিনি যদি মেধা তালিকায় থাকতেন তবে তা ঘোষণা করা হত। সরকারি তরফে তাঁর নাম ঘোষণা করা হত। সেক্ষেত্রে তিনি সম্মানিত হতেন। তাঁকে নানা পুরস্কারে, সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু সেসব আর হওয়ার উপায় নেই।

(Feed Source: hindustantimes.com)