‘ফিরবে ইলেক্টোরাল বন্ড’, নির্মলা সীতারামনের এই মন্তব্য শুনেই আক্রমণে কংগ্রেস

‘ফিরবে ইলেক্টোরাল বন্ড’, নির্মলা সীতারামনের এই মন্তব্য শুনেই আক্রমণে কংগ্রেস

কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরলে বিজেপি ইলেকট্রোরাল বন্ড ফের ফিরিয়ে আনবে। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এবার তার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।

সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পর্যালোচনার জন্য ফিরে যাব কিনা তা দেখার বিষয়, তবে আমাদের এখনও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে প্রচুর পরামর্শ করতে হবে এবং দেখতে হবে যে আমাদের এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে বা আনতে হবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, প্রাথমিকভাবে স্বচ্ছতার স্তর বজায় রাখবে এবং এতে কালো টাকা ঢোকার সম্ভাবনা পুরোপুরি সরিয়ে ফেলবে। সুপ্রিম কোর্ট সদ্য ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া বর্তমান প্রকল্পটি স্বচ্ছতা এনেছে’।

এর জবাবে রমেশ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী সীতারামন ঘোষণা করেছেন যে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্বাচনী বন্ডগুলিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল, তা ফিরিয়ে আনবে। আমরা জানি ‘পেপিএম কেলেঙ্কারি’ করে বিজেপি জনগণের ৪ লক্ষ কোটি টাকা লুঠ করেছে। এখন তারা লুটপাট অব্যাহত রাখতে চায়।

‘পেপিএম কেলেঙ্কারি’ নিয়ে কংগ্রেসের দাবির তালিকা তৈরি করে তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী “দুর্নীতির জন্য চারটি প্যাটার্ন ব্যবহার করেছেন”, যথা ‘প্রিপেইড ঘুষ (চন্দা দো, ধান্দা লো), পোস্টপেইড ঘুষ (থেকা লো, রিশভাত দো), পোস্ট-রেইড ঘুষ (হাফতা ভাসুলি অর্থাৎ তোলাবাজি) এবং শেল কোম্পানি যার মোট পরিমাণ লক্ষ কোটি টাকা’।

রমেশ আরও বলেন, ‘যদি ওরা জিতে যায় এবং নির্বাচনী বন্ড স্কিম ফিরিয়ে আনে, তাহলে তারা এবার কত লুটপাট করবে?’ এটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। সৌভাগ্যক্রমে, গ্রাউন্ড রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্রিগেড সরে যাওয়ার পথে।

রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল এই বক্তব্যের সঙ্গ সংযোজন করে বলেন, ‘… নির্মলা সীতারামন একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে আমরা নির্বাচনী বন্ড ফিরিয়ে আনব এবং এও বলা হয়েছিল যে যখন নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল, তখন স্বচ্ছতার স্বার্থে সেগুলি চালু করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে তার ঠিক উল্টো।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে এগুলি স্বচ্ছ নয়, এগুলি অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে আনা হয়েছিল। এখন তারা যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা হ’ল, এই নির্বাচনের জন্য তাদের কাছে অর্থ রয়েছে, তবে তারা জানে যে তারা যখন হেরে যাবে তখন তাদের অর্থের প্রয়োজন হবে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)