রবিবার রাঁচিতে ছিল ইন্ডি জোটের হাইভোল্টেজ সভা। সেখানে অখিলেশ যাদব থেকে সুনীতা কেজরিওয়ালরা ছিলেন উপস্থিত। অসুস্থতার জন্য থাকতে পারেননি রাহুল গান্ধী। এদিকে, এই সভায় দর্শকাসনে দেখা গেল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পতাকা থেকে লাঠি খুলে মারধর, চেয়ার ছুড়ে মারপিটের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।
এদিকে, প্রশ্ন উঠছে, ইন্ডি জোটের নেতারা যখন বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে চলার কথা বলতে এই সভায় একত্রিত হয়েছেন, তখন সেখানে দর্শকাসনে কেন এমন ঘটনা ঘটল? বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, মঞ্চে যখন নেতারা দর্শকদের সম্বোধন করছিলেন, তখনই দর্শকাসনে বসে থাকা কয়েকজনের মধ্যে মারপিট দেখা যায়। বহু রিপোর্টের দাবি, আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে এই মারপিট হয়। যে সমস্ত ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, একে অপরে চেয়ার তুলে মারধর করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। লাঠি দিয়েও মারধর হয়েছে। এমন মারপিট শুরু হতেই সভা ছেড়ে পালাতে থাকেন অনেকে। সভা মঞ্চে ততক্ষণে হাইপ্রোফাইল নেতারা আসতে শুরু করেছেন। ঘটনায় বেশ কিছু জন আহত হন। অনেকেরই মাথা ফেটে রক্ত পড়তে দেখা যায়। এই মারপিটে কংগ্রেসের প্রার্থীর ভাইয়ের মাথা ফেটে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের প্রার্থী কেএন ত্রিপাঠির ভাই গোপাল ত্রিপাঠীর মাথা ফেটে গিয়ে আহত হয়েছেন তিনি।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির অমিত মালব্য এই ভিডিয়ো তুলে ধরে খোঁচার সুরে বলেন, ‘এভাবে হাত হালত বদল করবে? রাঁচিতে ইন্ডি জোটের সভায় মারপিটের মনোরম দৃশ্য। আসন সমঝোতা নিয়ে যে সংঘাত চলছে তার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।’ শ্লেষ দিয়ে অমিত মালব্যের এই বক্তব্য যে কংগ্রেস সহ বিরোধী জোটের আসন সমঝোতার দিকেই ছিল, তা বলাই বহুল্য।
এদিকে, আজকের সভায় অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি রাহুল গান্ধী। তিনি ছাড়াও মঞ্চে ছিলেন না উদ্ধব ঠাকরে। তবে মঞ্চে ছিলেন অখিলেশ যাদব, ভাগবন্ত মান, তেজস্বী যাদব। সভা মঞ্চ থেকে সুনীতা কেজরিওয়াল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ঘিরে একের পর এক তোপ দাগেন। অখিলেশ থেকে তেজস্বীরাও তোপ দাগেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।
(Feed Source: hindustantimes.com)