ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত

অরবিন্দ কেজরিওয়াল ১ এপ্রিল থেকে তিহার জেলে বন্দী।

দিল্লির মদ নীতি মামলায় তিহার জেলে বন্দী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোমবার আদালত থেকে বড় ধাক্কা পেলেন। কেজরিওয়াল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শের জন্য দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। পিটিশনে, কেজরিওয়াল তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ চেয়েছিলেন যাতে তাকে ইনসুলিন দেওয়া হয় এবং তার চিনির মাত্রা এবং ডায়াবেটিস সম্পর্কে প্রতিদিন 15 মিনিট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে চিকিৎসা পরামর্শের অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতে তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে কেজরিওয়ালের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেজরিওয়াল 1 এপ্রিল থেকে তিহারে রয়েছেন এবং তার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে 23 এপ্রিল আবার শুনানি হবে।

আদালত তার আদেশে বলেছে যে AIIMS-এর ডিরেক্টর কেজরিওয়ালের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করবেন। তাকে ইনসুলিন দেওয়া হবে কি না তা শুধু মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তার ডায়েটও ঠিক করবে মেডিকেল বোর্ড। কারাগারে কেজরিওয়াল কী ধরনের ব্যায়াম করবেন তাও ঠিক করবে মেডিকেল বোর্ড।

আদালত তিহার জেলকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে বলেছে। আদালত বলেছে, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া উচিত। কোনও বিশেষ চিকিত্সার ক্ষেত্রে, জেল কর্তৃপক্ষ তা করবে। এই চিকিত্সা AIIMS-এর পরিচালক দ্বারা গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।”

হাইকোর্টে ২টি পিটিশনের শুনানি
সোমবার হাইকোর্টে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সংক্রান্ত দুটি পিটিশনের শুনানি হয়। কেজরিওয়ালের জামিনের পিআইএলের শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত সিজে মনমোহনের আদালতে। ‘উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া’ নামে একজন আইন ছাত্র এই পিটিশন শুরু করেছিলেন। আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করায় পুরো সরকার স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি সরকারপ্রধান।” এ নিয়ে আদালত বলেছে- “মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাহুল মেহরা হাজির হয়েছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি তাঁর কাজ করছেন। তাঁর আপনার কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই।” এরপর ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।

যেখানে হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কাইট এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের বেঞ্চে ইডি সমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দ্বিতীয় আবেদনের শুনানি হয়। বেঞ্চ এই আবেদনটি 15 মে তালিকাভুক্ত করেছে।

(Feed Source: ndtv.com)