বিয়েতে পছন্দের গান বাজানো নিয়ে বচসা, UP-তে কনের বাবাকে পিটিয়ে খুন করল শ্যালক

বিয়েতে পছন্দের গান বাজানো নিয়ে বচসা, UP-তে কনের বাবাকে পিটিয়ে খুন করল শ্যালক

বিয়েতে পছন্দের গান বাজানো নিয়ে বচসা। তার ছেড়ে কনের বাবাকে পিটিয়ে খুন করল তারই এক আত্মীয়। শুধু খুনই নয়, এরপর প্রায় গহনা সহ ১ লক্ষ টাকা লুট করে পালাল। এই ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফাতেহাবাদ থানা এলাকায়। মৃতের নাম রাম বরণ সিং (৫৭)। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে বিয়ে বাড়িতে। মূল অভিযুক্ত রাজু সিং হল রাম বরণের শ্যালক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম ফতেয়াবাদ থানার কৃষ্ণধাম কলোনির বাসিন্দা। রবিবার তাঁর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তাতে আত্মীয়দের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাম বরণ। তার মধ্যে ছিল তাঁর শ্যালক রাজু সিং। অভিযোগ, ওই দিন একটি বিশেষ গান বাজানো নিয়ে রাজুর সঙ্গে রাম বরণের মধ্যে বচসা বাঁধে। তবে সেই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তখনকার মতো ঝামেলা মিটে যায়।

পরের দিন সোমবার সকালে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছিলেন রাম বরণ। অভিযোগ ঠিক সেই সময় রাজু তার ছেলে এবং ৪ ভাগ্নেকে নিয়ে এসে রাম বরণের উপর হামলা চালায়। তারা পাথর দিয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি লোহার রড দিয়ে রামের ওপর হামলা চালায়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রামকে উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনায় রাম বরণকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অমরদীপ লাল জানিয়েছেন, রাম বরণের ভাই অনিল সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, মূল অভিযুক্ত রাজু সিং সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

অনিল সিং জানান, ‘তারা লোহার রড ও পাথর নিয়ে আমার দাদার ওপর হামলা চালায়। আমরা দাদাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে। অভিযুক্তরা সোনার অলঙ্কার ও নগদ ১ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমরা দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে  চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’ অন্যান্য অভিযুক্তদের নাম হল রাজুর ছেলে সুনীল, রাজুর ভাগ্নে শচীন, পুষ্পেন্দ্র, রঞ্জিত এবং বিজয়। পুলিশ জানিয়েছে, সব অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)