‘বামেদের মতো নবান্নে গিয়ে ফিশ-ফ্রাই খাইনি’, বলরামপুরের সভা থেকে আক্রমণ শুভেন্দুর

‘বামেদের মতো নবান্নে গিয়ে ফিশ-ফ্রাই খাইনি’, বলরামপুরের সভা থেকে আক্রমণ শুভেন্দুর

বলরামপুর: ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বামেদের মতো নবান্নে গিয়ে ফিশ-ফ্রাই খাইনি’, বলরামপুরের জনসভা থেকে এবার বামেদেরও (Election 2024) আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari Attacks Left)।

আর কী বললেন?
এর আগে, বাম নেতাদের প্রশংসা শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর মুখে। গত বছর মার্চ মাসে, বিমান বসুর সততা নিয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে ‘মানুষের মহাজোটের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেন, ‘কোন দল কী করবে জানি না। মানুষ এই দলকে বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বস্তুত সেটিই, প্রথম ঘটনা নয়। শেষ বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জয়ের পরও বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, তিনি বামেদের ভোটে জিতেছেন। সে সময় শুভেন্দু এও জানিয়েছিলেন, বামেদের সকলে খারাপ নন। তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, ‘এদের থেকে অনেক বড় এবং শক্তিশালী সংগঠন ছিল সিপিএম-এর। বামফ্রন্ট এদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। ক্ষমতায় ছিল ৩৪ বছর। আসনসংখ্যা ছিল ২৩৫ …বামপন্থীরা সকলে খারাপ নন। আমাদের সঙ্গে প্রচুর বামপন্থী এসেছেন। নন্দীগ্রামে বামপন্থীদের একটা বড় অংশ, যাঁরা হিন্দু, আমাকে ভোট দিয়েছেন বলেই জিতেছি। অকপটে স্বীকার করছি সে কথা।’ সেই শুভেন্দুর মুখে এদিন বামপন্থীদের সমালোচনায় অন্য় তাৎপর্য পেয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বাকি যা…
যদিও তৃণমূলকেও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি তিনি। সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘শাহজাহানের ঘটনা দেখেছেন আপনারা। শাহজাহানেরা কীভাবে মা-বোনেদের অত্য়াচার করেছে। মা-বোনেদের পিঠে তৈরি করার নাম করে রাতে ডেকে শারীরিক অত্য়াচার করেছে। আপনারা বন্ধ হোক চান?’ দুর্নীতি নিয়েও এদিন ফের তৃণমূলকে বেঁধেন তিনি। বলেন, ‘ ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে সরকারে এলে প্রত্য়েক বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হবে। …তৃণমূল মানে চোর আজকে সেই কথা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে। যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের প্রতি সহানুভুতি রেখে বলি আজ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের জন্য় আপনাদের এই পরিণতি হয়েছে।’ যোগ্য়দের তালিকা এই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার দেয়নি, অভিযোগ করেন তিনি। আরও বলেন, ‘সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পাওয়া লোকেদের জেলে পুরবে। যাদের টাকা দিয়েছে সেই ভাইপো বাহিনীকেও জেলে পুরবে। ২০২২ সালের ৫ মে রাজ্য় মন্ত্রিসভার বৈঠক করে তিনি নতুন পদ তৈরি করেছিলেন। যাঁরা অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরি করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। চটি যাবে জেলে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। ওটা তৃণমূলের টাকা নয়। বিশ্বাস-ভরসা আছে তো?’

(Feed Source: abplive.com)