Football
oi-Koushik Chakraborty
ফুটবল গোলের খেলা। গোল দেখতেই মাঠে আসেন মানুষ। কিন্তু এই খেলাকেই যদি কলঙ্কিত করা হয় ভুড়িভুড়ি গোলের ম্যাচ ফিক্সিং করে তা হলে তা কোন আনন্দ দেয় না, বরং ফুটবল কলঙ্কিত হয় নৈতিকতার কাছে। যেই খেলা উপরাহ দিয়েছে মারাদোনা, পেলে, গ্যারিঞ্চার মতো ফুটবলারকে, সেই খেলাই কালিমালিপ্ত হয় কিছু অপদার্থের জন্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ বিভাগের দু’টি ম্যাচই তেমন কলঙ্কিত করল এই খেলাটিকে। মাতিয়াসি এফসি, শিবুলানি ডেঞ্জারার্স টাইগার্স, কটোকো হ্যাপি বয়েজ এবং এনসামি মাইটি বার্ডস এই চারটি ক্লাব একে অপরের সঙ্গে খেলছিল। দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল ফেডারেশন এই চার ক্লাবকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
টাইগার্স এবং মাতিয়াসি এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তৃতীয় ডিভিশনে কোয়ালিফাইয়ের লক্ষ্যে।শিবুলানি ডেঞ্জারার্স টাইগার্স ৩৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হ্যাপি বয়েজকে এবং এনসামি মাইটি বার্ডসকে ৫৯-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মাতিয়াসি এফসি।
দুই ম্যাচে অবিশ্বাস্য এই ফলাফলে কার্যত তাজ্জব সেই দেশের ফুটবল ফেডারেশন। গোটাস বিশ্ব এই ফলাফল জেনে স্তম্ভিত। খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছে জঘন্য রকম ম্যাচ ফিক্স করা হয়েছে। এই চার ক্লাবকে আজীবন নির্বাসন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল ফেডারেশন এবং চার ক্লাবের কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাঁচ থেকে আট মরসুমের জন্য।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চার দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যেই ম্যাচ ফিক্স করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মাইটি বার্ডস ক্লাবের কোচ নেইল থাওয়ালাও জানতেন না এমন কিছু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, “আমি পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। অনেক চেষ্টা করেও কোনওভাবেই এ ঘটনাকে রোধ করতে পারিনি। খেলোয়াড়দের মন-মানসিকতা কোনওভাবেই ম্যাচে ছিল না।”
(Source: oneindia.com)