Philippines: তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! এই তাপমাত্রায় কি বাঁচে মানুষ?

Philippines: তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! এই তাপমাত্রায় কি বাঁচে মানুষ?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফিলিপাইন্সের কোনও কোনও অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে মে মাস পর্যন্ত সেদেশে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে সে দেশের আবহাওয়া অফিস। আজ, সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। জানা গিয়েছে, ফিলিপাইন্সের প্রচণ্ড গরমের কারণে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চাষাবাদও ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে সে দেশের শিক্ষার্থীরাও সমস্যায় পড়েছে। দাবদাহের কারণে ফিলিপাইন্সের হাজার হাজার স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে। এক সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এটি স্বাভাবিক গ্রীষ্মের গরমের মতো নয়, এটা অসহ্য! এক শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, আসন্ন মে মাসেও স্কুল বন্ধ থাকতে পারে। কারণ সেসময় অনেক জায়গাতেই তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আছে! প্রচণ্ড গরমের কারণে পড়ুয়ারা মাথা ঘোরা, বমি হওয়া ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতার শিকার হচ্ছেন। রাজধানী ম্যানিলায় অনেক শিক্ষার্থীই ছাতা, বোর্ড ইত্যাদি দিয়ে মাথা ঢেকে স্কুলে আসছেন।

ফিলিপাইন্সের মতোই অবস্থা বাংলাদেশে। সেখানে বিশেষত ঢাকা শহরে পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন। শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র দাবদাহের কবলে। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ কামরাঙ্গিরচর ও আদাবর এলাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকাতেও উষ্ণতার মাত্রা তীব্র হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকাই তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে!

কেন এরকম হচ্ছে? নগরবিদ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষের বসবাস, অতিমাত্রায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, গাছপালা ও জলাভূমি না থাকা এবং বেশিরভাগ জায়গায় কংক্রিটের নির্মাণ থাকার কারণে অতি উষ্ণতার এই বিপদ বছর-বছর বাড়ছে।

আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসছে একটা জরুরি প্রশ্ন। মানুষ কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মোটামুটি ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত সহ্য করতে পারে মানুষ। তবে ওই ভয়ংকর তাপমাত্রায় মানুষ বেঁচে থাকবে কিনা, সেটা নির্ভর করে কয়েকটি ব্যাপারের উপর। যেমন, পরিবেশের আর্দ্রতা, শরীরের ফিটনেস। বাতাসে আর্দ্রতা যত বেশি হবে, শরীর তত খারাপ হবে। যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় তখন শরীরের সেই তাপ কমানোর জন্য রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখার প্রয়োজন পড়ে। আর সেটা করতে গিয়ে বেশি খাটতে হয় হৃদপিণ্ডকে। ফলে, গরমে কাবু হওয়া মানুষটির ফিটনেসটাও খুব জরুরি। যাঁরা তুলনায় দুর্বল অসহ্য গরমে তাঁদের অনেকেরই হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, হতে পারে মৃত্যুও। এই বিপদ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে প্রচুর ইলেকট্রোলাইটস ও জল খেতে হয়।

(Feed Source: zeenews.com)